গরম জলের ভাপ নিলেই কি ফিরবে ত্বকের জেল্লা? —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ত্বকের মরা কোষ, ব্ল্যাক হেডস, অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে সাহায্য নেওয়া হয় গরম ভাপের। সালোঁয় ফেসিয়াল করতে গেলে ক্রিম মাসাজের পর ব্ল্যাক হেডস বের করতে বাষ্প দেওয়া হয়। ত্বকের পরিচর্যা শেষে মুখ চকচকে হয়ে ওঠে। তবে বাড়িতেই তা করতে চাইলে সঠিক নিয়ম মানা দরকার। না হলে অতিরিক্ত গরমে ঔজ্জ্বল্য দূরের কথা, ত্বকে কালচে ভাব চলে আসতে পারে। ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
মুখ ভাপ দেওয়া বা ‘ফেসিয়াল স্টিমিং’ কী!
সর্দি-কাশির সময় বুকের কফ বের করতে, শ্বাস নিতে যাতে আরাম হয়, সে জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ঠিক তেমনই গরম বাষ্পের সাহায্যে মুখের অতিরিক্ত তেল, ধুলো, ময়লা, মরা কোষ এ ভাবে সরিয়ে ফেলা যায়।
উপকারিতা
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরানো, আর্দ্রতা বজায় রাখা, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা, ব্রণ দূর করা-সহ একাধিক উপকার হয় এই পদ্ধতিতে। তাই সালোঁয় যাওয়ার সুযোগ না হলে বাড়িতেও ‘ফেসিয়াল স্টিমিং’ করতে পারেন।
মাথায় রাখা দরকার
ফেসিয়াল স্টিমিংয়ের আগে মুখের মেকআপ তোলা প্রয়োজন। তারপর তেল বা ক্রিম মাসাজ খুব জরুরি। শুষ্ক মুখে ভাপ নিতে গেলে হিতে বীপরিত হতে পারে।
ভাপ নেওয়ার সময় চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
৫-৬ ইঞ্চি দূর থেকে ভাপ নিতে হবে।
কী ভাবে ভাপ নেবেন?
১. গামলায় গরম জল নিতে হবে। একটি বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা থেকে গামলা এমন ভাবে ঢেকে দিন আসে যাতে জলের বাষ্প সরাসরি মুখে পৌঁছয়। একেবারে গামলার কাছে মুখ আনা যাবে না। একটু উঁচু থেকে ভাপ নিলেই হবে। গামলার খুব কাছে মুখ আনলে বেশি গরমে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। মিনিট পাঁচেক ভাপ নিয়ে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিলেই হবে।
২. গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে জল নিংড়ে সেই তোয়ালে মুখে দিলেও ভাপ লাগবে।
৩. মুখে ভাপ দেওয়ার জন্য যন্ত্র পাওয়া যায়। যন্ত্রের মধ্যে জল দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেই জল ফুটতে শুরু করবে। যন্ত্রের মুখ দিয়ে বাষ্প বার হবে।
বাড়তি উপকার
ত্বকে বাড়তি ঔজ্জ্বল্য পেতে জলে ভেষজ ও এসেনশিয়ল অয়েল যেমন টি ট্রি অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে দিতে পারেন।
তবে মাসে দু’বারের বেশি ভাপ নেওয়া ঠিক নয়। বড়জোর ৫-১০ মিনিট নেওয়া যেতে পারে। তার বেশি নয়।