ডাবের শাঁসেই ফিরবে জেল্লা। ছবি: শাটারস্টক
কাজের তাগিদে রাস্তায় বেরিয়েছেন, রোদে তেতে-পুড়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আশপাশের রাস্তায় কোথাও ডাব রয়েছে কি না খুঁজছেন। পেটগরম হয়েছে? মা বাজার থেকে দু’টি ডাব নিয়ে হাজির। ডাবের জল যে শরীরের জন্য উপকারী, সেটা তো সকলেই জানেন। কিন্তু জানেন কি রূপচর্চাতেও কাজে লাগতে পারে ডাব? নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ত্বক কিংবা শুষ্ক চুলের সমস্যা কমাতে ডাবের জলের জুড়ি নেই। শুধু জল নয়, ডাবের শাঁসও রূপচর্চায় কাজে আসতে পারে।
ডাবের জল এবং শাঁস ত্বককে শুধু ভিতর থেকে নয় বাইরে থেকেও আর্দ্র রাখে। এতে ভিটামিন এ, সি, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে। নিয়ম করে এই দুই উপাদান রূপচর্চায় ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
জেনে নিন কী কী কাজে লাগাবেন ডাবের শাঁস।
১) জেল্লা বৃদ্ধি করতে: সকালে বা রাতে ঘুমোনোর আগে ডাবের শাঁস দিয়ে মালিশ করতে হবে। ডাবের শাঁস বার করে মিক্সারে ঘুরিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মালিশ করার পর ১০ মিনিট রেখে দিন এবং তার পর হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ঘুম থেকে উঠে কোথাও যেতে হলে চোখের তলায় ফোলাভাব দেখা যায়। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ডাবের শাঁসের মিশ্রণ চোখের তলায় লাগিয়ে নিলে ফোলা ভাব কমে যাবে।
ডাবের শাঁস দিয়েই হোক রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
২) তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করতে: সারা বছর কেউ কেউ তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে একটি পাত্রে ডাবের শাঁস বাটা, বেসন, মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগান। মিনিট ১৫ পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই প্যাক ব্যবহার করুন, তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর হবে।
৩) ট্যান দূর করতে: ডাবের শাঁস বেটে নিয়ে ডাবের জলের সঙ্গে মিশিয়ে বরফের ট্রে-তে ভরে রাখুন। রোদ থেকে ফিরে সেই বরফ মুখে ঘষে নিন। এই টোটকা মানলে ট্যান পড়বে না।