শণের বীজ থেকে যে তেল উৎপন্ন হয়, তা ত্বক এবং চুলের যত্নে বিশেষ ভাবে উপকারী। ছবি : সংগৃহীত
শীতকাল একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময় ত্বকের একটু বেশিই যত্নের প্রয়োজন হয়। বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। বয়সজনিত কারণেও অনেক সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শুধু ময়েশ্চারাইজার বা লোশনে কাজ হয় না। দেহের অন্যান্য অংশের শুষ্কভাব রোধ করতে অনেকেই শীতকাল জুড়ে তেল মাখেন। কিন্তু সকলের ত্বকের ধরন এক রকম নয়। কারও মুখের ত্বক শুষ্ক, কারও অতিরিক্ত তৈলাক্ত। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা মুখে সরষের তেল, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখলে ব্রণর সমস্যা বেড়ে যাবে।
ত্বকচর্চায় ইদানীং কিছু এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে একটি হল ‘হেম্প সীড অয়েল’ বা শণ বীজের তেল। দেখতে অনেকটা একই রকম এবং ‘মারিজুয়ানা’ গোত্রের হলেও শণের বীজ এবং ভাঙের বীজের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। শণের আঁশ পোশাক তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। শণের বীজ থেকে আবার যে তেল উৎপন্ন হয়, তা ত্বক এবং চুলের যত্নে বিশেষ ভাবে উপকারী। এতে আছে পলিআনস্যাচুরেটেড ওমেগা৩ এবং ওমেগা৬ ফ্যাটি অ্যাসিড।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এই তেল। ছবি : সংগৃহীত
ত্বকের যত্নে হেম্প সিড অয়েল কী ভাবে কাজ করে?
১) ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে
যে কোনও ধরনের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই তেল বিশেষ ভাবে উপকারী। শণের বীজের তেল খুবই পাতলা, তাই এতে অতিরিক্ত চটচটে ভাবও থাকে না। রোমকূপ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
২) প্রদাহরোধকারী
ত্বকে কোনও সংক্রমণ হলে সেখান থেকে প্রদাহ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। হেম্প সিড অয়েল-এর মধ্যে থাকা যৌগগুলি ত্বকে ব্রণ, সোরাইসিস বা এগজিমা রোধ করতে সাহায্য করে।
৩) অ্যান্টি এজিং
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে শণের বীজের তেলের বিশেষ ভূমিকা আছে। ত্বকে নতুন কোষ সৃষ্টিকারী প্রোটিন ‘কোলাজেন’ তৈরি করতে সাহায্য করে এই তেল।
৪) সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে
তৈলাক্ত ত্বকের মূল সমস্যাই হল অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ। সেই কারণে অনেকেই মুখে ক্রিমজাতীয় কিছুই মাখতে পারেন না। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব না থেকেও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার।
৫) ত্বকে পুরনো ক্ষত সারিয়ে তোলে
পুড়ে যাওয়া, কেটে যাওয়া বা কোনও ক্ষতর দাগ, ত্বক থেকে চট করে মেলাতে চায় না। মুখে অবাঞ্ছিত কোনও দাগ, ছোপ তুলতে ‘হেম্প সিড অয়েল’ বিশেষ ভাবে কাজ দেয়।