স্থায়ী ভাবে রোম তুলতে কী করবেন? ছবি : সংগৃহীত
হঠাৎ আসা নিমন্ত্রণে হাতকাটা বা হাঁটুঝুল জামা পরতে অস্বস্তিবোধ করেন অনেকে। কারণ দেহে রয়েছে অবাঞ্ছিত রোম। এমনি সময়ে কিছু দিন অন্তর সালোঁয় গিয়ে ওয়াক্স করেন। তবে কিছু দিনের মধ্যেই তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। হরমোনের হেরফেরে কারও ক্ষেত্রে রোমের ঘনত্ব এতটাই বেশি হয় যে, ওয়াক্স করার পরের দিনই রেজ়ার দিয়ে রোম তুলতে হয়।
ইদানীং রোম তোলার স্থায়ী সমাধান হিসাবে লেজ়ার পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকেন। এই পদ্ধতি খরচ সাপেক্ষ এবং জটিলও বটে। কারণ, অন্যান্য অস্ত্রোপচারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি এটি। তাই এই চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার আগে এবং হওয়ার পরে যথেষ্ট সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
‘লেজ়ার হেয়ার রিমুভাল’ করতে যাওয়ার আগে জেনে রাখা ভাল যে, অনেকে এই পদ্ধতিকে রোমহীন ত্বকের স্থায়ী সমাধান বললেও এর প্রভাব থাকে বড়জোর ছ’মাস। কারও ক্ষেত্রে তারও কম। যদিও তা নির্ভর করে কার শরীরে, কোন হরমোনের মাত্রা কেমন, তার উপর। তাই সবটা জেনে তবেই এগিয়ে যাওয়া ভাল।
এক সপ্তাহ আগে থেকে সুইমিং পুলের জলে নামা বন্ধ করে দিতে হবে। ছবি : সংগৃহীত
অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে যেমন কিছু সতর্কতা নিতে হয়, এ ক্ষেত্রেও তাই। জেনে নিন কী করবেন আর কী করবেন না।
ট্রিটমেন্টের আগে কী কী করবেন?
১) লেজ়ার পদ্ধতিতে রোম তোলার পর আগামী ২-৩ সপ্তাহ ওয়াক্স বা সুতো দিয়ে রোম তোলার চেষ্টা করবেন না।
২) এই ট্রিটমেন্ট করার দু’দিন আগে থেকে অ্যান্টি-এজিং প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।
৩) এক সপ্তাহ আগে থেকে সুইমিং পুলের জলে নামা বন্ধ করে দিন।
ট্রিটমেন্টের পর কী কী করবেন না?
১) লেজ়ার পদ্ধতিতে রোম তোলার পর ক্যালামাইনযুক্ত ক্রিম বা অ্যালো ভেরা জেল অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
২) প্রত্যেক ৩-৪ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৩) সিরামজাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন এই ট্রিটমেন্ট হওয়ার অন্ততপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা পর।
৪) লেজ়ার পদ্ধতি ব্যবহার করে রোম তোলার সঙ্গে সঙ্গেই জিমে যাবেন না। অন্ততপক্ষে ১২ ঘণ্টা পর শরীরচর্চা করবেন।
৫) এই ট্রিটমেন্ট করার অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহ পর ত্বকে এক্সফোলিয়েট করবেন।