এই সময় ত্বকের যত্নে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
ওজন কমানোর মতো ত্বকের যত্ন নেওয়াও সহজ নয়। বাজারচলতি কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করা, ত্বকের যত্নের শেষ কথা নয়। ব্রণ, তৈলাক্ত ভাব, র্যাশ— এগুলি হল ত্বকের সাধারণ কিছু সমস্যা। অনেকেই নাজেহাল হয়ে পড়েন এগুলি নিয়ে। সমস্যা দেখা দিলে তখন সমাধানের কথা মনে পড়ে। কিন্তু কিছু নিয়ম যদি মেনে চলা যায়, তা হলে কোনও সমস্যা জন্ম নেয় না। ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই কোনও অনিয়মই সহ্য করে না। গরম পড়ে গিয়েছে। এই সময় ত্বকের যত্নে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সুস্থ ত্বক পেতে কোন ভুলগুলি করবেন না?
মেক আপ তোলার টিস্যু এড়িয়ে চলুন
অনেকেই আছেন, ‘মেক আপ ওয়াইপস’ ব্যবহার করেন। এগুলির মধ্যে রাসায়নিক নানা উপাদান মেশানো থাকে। যেগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এসে অস্বস্তির জন্ম দেয়। ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। তার চেয়ে মেক আপ তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় হল নারকেল তেলে ভেজানো তুলো। ত্বকের কোনও সমস্যা হওয়ার কথাও নয়। ত্বক নরমও থাকে এতে।
বার বার মুখে হাত দেওয়া
রাস্তাঘাটে, অফিসে, বাড়িতে অকারণেই মুখে হাত চলে যায়। এই অভ্যাস অত্যন্ত খারাপ। হাতে লেগে থাকা ময়লা এই ভাবে ত্বকে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই ব্রণর সৃষ্টি। হাত ভাল করে সাবান দিয়ে না ধুয়ে মুখে দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। রাস্তায় থাকলে তো আরও নয়। হাত যদি একান্তই মুখে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে আগে হাত ধুয়ে নিন। অন্তত টিস্যু দিয়ে হাত মুছে নিন।
বালিশের কভার পরিষ্কার না করা
বালিশের কভার হল জীবাণুর আঁতুড়ঘর। অথচ সেখানেই মুখ গুঁজে ঘুমোন। এমন চলতে থাকলে তো ত্বকের যে বারোটা বাজবে, তা অনুমান করা এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়। ত্বক ভাল রাখতে চাইলে তিন দিন অন্তর বালিশের ঢাকনা কাচতে হবে। একই বালিশের কভার দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করা যাবে না।
অপরিষ্কার মেক আপ ব্রাশ ব্যবহার করা
শুধু মেক আপ করলে হবে না, ব্রাশগুলিও যত্নে রাখতে হবে। অনেক দিন ধরে একই ব্রাশ দিয়ে মেক আপ করা ঠিক নয়। তাতে সাময়িক কাজ হয়তো চলে যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এর ফল ভুগতে হতে পারে। একটি ব্রাশ ১৫ দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না। তাতে ত্বক যত্নে থাকবে।