রোজ স্নান করছেন, তা-ও ত্বকের কিছু না সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।
কাঁহাতক আর সুগন্ধি দিয়ে গায়ের দুর্গন্ধ চেপে রাখা যায়? দু’দিন স্নান না করলেই টের পাওয়া যায়। তাই সকালে কাজে বেরোনোর আগে ঠান্ডার মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে দু’মগ ঈষদুষ্ণ জল ঝপাঝপ গায়ে ঢেলেই স্নানঘর থেকে তোয়ালে জড়িয়ে পালিয়ে আসছেন। একেবারে স্নান না করলে ত্বক যেমন শুষ্ক হয়ে থাকে, তা হয়তো হচ্ছে না। কিন্তু ত্বকের কিছু না সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। স্নানের সময় কিছু ভুল হয়ে যাচ্ছে কি?
১) সাবানের ব্যবহার
রোজ না হলেও সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সাবান মেখে স্নান করা প্রয়োজন। না হলে ত্বকে জমা মৃতকোষ, ধুলোময়লা, ঘামের দুর্গন্ধ— কিছুই দূর হবে না। সাবান ধুতে জল বেশি লাগে। তাই যাঁদের ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত রয়েছে, তাঁরা বুঝেশুনে জল ঘাঁটবেন।
২) ঘাড়, কানের পিছনের অংশ পরিষ্কার না করা
স্নান করার সময়ে ঘাড় এবং কানের পিছন পরিষ্কার করতে ভুলে যান অনেকেই। সেখানে ময়লা জমে থাকলে দেখতে মোটেই ভাল লাগবে না। স্নান করেও খুব একটা লাভ হবে না।
৩) কত ক্ষণ ধরে স্নান করছেন?
তাড়াহুড়োতে বেশি ক্ষণ স্নান করা সম্ভব হয় না। ঠান্ডায় তো আরও ইচ্ছে করে না জল ঘাঁটতে। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গেলে যেটুকু সময় দেওয়া প্রয়োজন, সেইটুকু দিতেই হবে। ঠান্ডার ভয়ে স্নানঘর থেকে পালিয়ে এলে কিন্তু হবে না।
৪) শরীরচর্চা করার পর
নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। কিন্তু তার পর বাড়ি ফিরে আর স্নান করা সম্ভব হয় নয়। এই অভ্যাস কিন্তু ত্বকে ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৫) ত্বক শুকনো করে মোছা হচ্ছে তো?
স্নান করার পর ভাল করে গা না মুছেই জামা পরে ফেলছেন। দেহের আনাচকানাচে জল জমে থাকলে সেখানেও কিন্তু ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।