হৃদি ভেসে যায়...

বেসিনের জলেই... যদি তা হয় সুন্দর ও শোভন। অন্দরসজ্জায় বেসিনও হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তার জন্য জরুরি সঠিক পরিচর্যা

Advertisement

নবনীতা দত্ত

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share:

বড় মুখচোরা, ঘরকুনো সে! চুপটি করে এক কোণে পড়ে থাকে। আপনার যখন ইচ্ছে, তখনই সে আপনার জন্য জল বাড়িয়ে দেয়। তার একটু যত্নআত্তি করবেন না? প্রত্যেক বাড়িতেই যে ওর দরকার, মানে বেসিনের। ওর জন্য খুব বেশি জায়গাও বরাদ্দ করতে হবে না। একটুখানি জায়গা পেলেই সে সন্তুষ্ট। কিন্তু ঘরের শোভা ধরা থাকে তার সাজেও।

Advertisement

ধরনধারণ

Advertisement

ডাইনিং থেকে শুরু করে রান্নাঘর, স্নানঘর... বেসিনের বিচরণ সর্বত্র। কিন্তু সব জায়গার বেসিন কিন্তু এক ধরনের নয়। তাই আগে বেসিনের ধরন জানা প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী কোথায় কোন বেসিন রাখবেন, তা ঠিক করে নিতে পারেন।

দেওয়াল-জোড়া: এর জন্য খুব বেশি জায়গা নষ্ট হয় না। দেওয়ালেই এই বেসিন ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। ফলে জায়গা বাঁচাতে এই ওয়াল মাউন্টেড বেসিন বেস্ট অপশন।

মধ্যমণি: টেবিলের মতো সমান সারফেসের ঠিক মাঝখানে এই ধরনের বেসিন বসানো হয়ে থাকে। ফলে দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু জায়গা লাগে।

একপেয়ে: এই ধরনের পেডেস্টাল বেসিন খুব কমন। প্লাম্বিং ফিক্সচার ও পাইপ ঢাকার মতো কভার দেওয়া এই বেসিন যেন ‘তালগাছ, এক পায়ে দাঁড়িয়ে’ থাকে ঘরের পাশে।

কোণে থাকে যে জন: সাধারণত তিনকোণা আকারের এই বেসিন কোনও কর্নার ধরে বসানো হয়ে থাকে। এর জন্যও খুব বেশি জায়গা লাগে না।

অন্তর্মুখী: একে আবার বাইরে থেকে দেখতে পাবেন না। খুবই অন্তর্মুখী সে। তার কাছে গেলে তবেই তার নাগাল পাবেন। টেবিলের মধ্যে আন্ডারমাউন্ট করে এই ধরনের বেসিন বসানো থাকে।

ধরা থাক আধারে

বিভিন্ন হোটেল-রিসর্ট থেকে শুরু করে এখন বাড়িতেও বেসিনের সাজ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বিভিন্ন রকম মেটেরিয়ালের বেসিন পাওয়া যায়। যেমন ধরুন—

কাস্ট পলিমার: পলিয়েস্টার রেজ়িন ও মার্বেল দিয়ে তৈরি এই বেসিনের জৌলুসই আলাদা। বেশ শক্তপোক্তও হয়।

তাম্রপাত্র: একটু সাবেকি ধাঁচ ধরে রাখতে কপার ব্যবহার করতে পারেন। তামার গামলার মতো এই বেসিন দেখতে বেশ ভাল। আর টিকবে বহু বছর।

মার্বেল: মাখনরঙা বা কালো ইটালিয়ান মার্বেল দিয়ে তৈরি এই বেসিনের চাহিদাও কম নয়। এর গড়নও অনেক রকমের হয়।

অনিক্স ওয়াশ বেসিন: এক ধরনের অস্বচ্ছ উজ্জ্বল পাথর হল অনিক্স। এই পাথর কেটেই তৈরি হয় বেসিন। সাদার উপরে হলদেটে দাগ কাটা এই বেসিন সহজেই পাবেন। তবে সাদা অনিক্স বেসিন বেশ দুষ্প্রাপ্য।

কাঠের: এই ধরনের বেসিন সাধারণত টেবিল-মাউন্টেড হয়। একে আলাদা করে ওয়াটারপ্রুফ তৈরি করতে হয়। বিশেষ ধরনের ভার্নিশও ব্যবহার করা হয় এই বেসিনের জেল্লা আনতে।

স্টেনলেস স্টিল: ঘষেমেজে পরিষ্কার করা সহজ। তার উপরে স্টিলের হওয়ায় ব্যবহার করার সময়েও বেশি সতর্ক থাকার দরকার পড়ে না। দামও পকেটের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। এই বেসিন সাধারণত রান্নাঘরে ব্যবহার করা হয়।

ফায়ার ক্লে: এই ধরনের মেটিরিয়ালে তৈরি বেসিন ধবধবে সাদা হয় আর অনেক পুরুও হয়। ফলে এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।

পার্শ্বচরিত্রে যারা

বেসিন সুন্দর কিনলেই হবে না, তার চারপাশের সাজের উপরেও নির্ভর করবে ঘরের সৌন্দর্য। ডাইনিং এরিয়া বা বাথরুমের বেসিনের পাশে অনেক কিছু দিয়েই সাজানো যায়।

• পোর্সেলিন বা চিনা মাটির পাত্রে গাছ রাখতে পারেন। সবুজের স্পর্শে প্রাণ পাবে বেসিন।

• নকশা করা শৌখিন সোপ ডিসপেনসার রাখতে পারেন বেসিনের পাশে। দেখতে ভাল লাগবে, আবার কাজেও লাগবে।

• কাচের পাত্রে জল দিয়ে তার মধ্যে গোলাপের পাপড়ি বা ফুল দিয়ে রাখলেও সুন্দর দেখাবে।

• সুন্দর পাত্রে পপৌরিও রাখতে পারেন বেসিনের টেবিলে। দেখাবেও সুন্দর, ভরে উঠবে সুগন্ধেও।

খেয়াল রাখবেন, বেসিনে চিড় ধরলে তা কিন্তু অবিলম্বে পালটে ফেলতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement