Barrackpore

প্রতিষেধক আসতেই কি আরও বেপরোয়া ব্যারাকপুর

এ দিন ব্যারাকপুর অঞ্চলের চিড়িয়ামোড়ের দৃশ্য— বাইকের আরোহী থেকে পথচারী, কারও মাস্ক নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ০২:১৩
Share:

বে-হুঁশ: সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরার উপরে জোর দেওয়া হলেও হুঁশ নেই একাংশের। ব্যারাকপুর ১৫ নম্বর রেলগেট এলাকায় এক ট্যাক্সিচালকের মাস্ক নেমেছে থুতনিতে। ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে মাস্কহীন বাইকচালক, অসচেতন পথচারীও। রবিবার। ছবি: মাসুম আখতার

বেপরোয়া মনোভাব থেকেই স্বাস্থ্য-বিধি ভাঙার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছিল। এ বার প্রতিষেধক এসে পড়ায় সেই বিধিভঙ্গে কি আরও জোর আসবে? রবিবার দিনভর শহরতলি ব্যারাকপুরের ছবি দেখে অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে।

Advertisement

অথচ দু’গজের দূরত্ব-বিধির সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক যে এখনও জরুরি, মোবাইলের কলার টিউনে সেটা প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু সে কথা মানুষের কানে ঢুকছে কোথায়? তাই তো এখনও মাস্ক ছাড়াই খোলা বাজারে ঘুরছেন অনেকে, কারও আবার মাস্ক নিয়ম রক্ষার খাতিরে থুতনিতে ঠাঁই পেয়েছে।

এ দিন ব্যারাকপুর অঞ্চলের চিড়িয়ামোড়ের দৃশ্য— বাইকের আরোহী থেকে পথচারী, কারও মাস্ক নেই। কেন নেই? উত্তর এল, “অত চিন্তা কিসের? করোনা তো চলে গিয়েছে। আর ভ্যাকসিনও এসে পড়েছে। আর ভয় নেই। ”

Advertisement

করোনার প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে ঠিকই। তবে তা চলে যায়নি মোটেই। জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বার বার সাবধান করছেন, এই সময়ে সর্বোচ্চ স্তরের সাবধানতা জরুরি। তা না হলে এত দিনের লড়াই বিফলে যেতে বাধ্য। শুরুর দিকে যে সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, এখন তেমন ভাবেই সাবধানে চলাফেরা করা উচিত। না হলে সংক্রমণের রেখচিত্র বাড়তে থাকলে বিপদ। তবুও অধিকাংশই সতর্ক নন।

লোকাল ট্রেন চালুর সময়ে বলা হয়েছিল, মাস্ক ছাড়া ট্রেনে ওঠা যাবে না। রেলপুলিশ এবং রেলসুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানেরা কড়া নজরদারি চালাতেন। সেই নজরদারি যে এখন উধাও তা বোঝা যায় স্টেশনে গেলেই। মাস্কহীন যাত্রীরা অবাধে ট্রেন থেকে নেমে নিরাপদে স্টেশন পেরোচ্ছেন। ট্র্যাফিক পুলিশের সামনে দাঁড়ানো ট্যাক্সিচালকের মাস্ক নেই। কেউ আবার এত মাস পড়েও মাস্ক নামিয়ে কথা বলতেই সাবলীল। জিজ্ঞাসা করলে হাল্কাচালের উত্তর, “এক বছর মাস্ক পরলাম। আর পারছি না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement