ক্যানসার আক্রান্ত এক মহিলার কষ্টে সহমর্মী হয়ে হঠাৎ নিজের চুলে রেজ়ার চালিয়ে দিলেন সালোঁ কর্মী। ছবি- ভিডিয়ো থেকে।
ক্যানসারের জটিল চিকিৎসার নানা পর্যায়ে শরীরে নানা রকম প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে। এতটাই পরিবর্তন আসে যে, নিজের আগের আদলের সঙ্গে বর্তমান চেহারা মেলাতে গেলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। গ্রাস করে অবসাদও। চামড়া কুঁচকে যায়, মুখে কালো ছোপ প়ড়তেও দেখা যায়। একঢাল ঘন চুলে ঢাকা মাথা দীর্ঘ সময় ধরে কেমোথেরাপি চলার পর কেশহীন হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় প্রথম বার আয়নায় নিজেকে দেখার যে কী অভিজ্ঞতা, তা ক্যানসার আক্রান্ত এবং তার পরিবারের মানুষজন জানেন।
এমন সময় পরিবারের মানুষ, বন্ধুবান্ধব বা প্রিয়জনকে পাশে পেলেও আর পাঁচ জনের চোখে করুণাই ফুটে ওঠে বেশি। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে তেমনই একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা গিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্ত ওই মহিলার চুল কেটে দিচ্ছেন এক সালোঁ কর্মী। নিজের চোখে নিজের সেই চেহারা দেখে অঝোরে কাঁদছিলেন ওই মহিলা। নিজেকে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, চুলহীন অবস্থায় তাঁকে কেমন লাগতে পারে। আয়নার সামনে বার বার চোখ চেপে ধরে নিজেকে অস্বীকার করতে চাইছিলেন। এমন দৃশ্য দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ওই কর্মীও। চুল কাটতে কাটতেই বার বার তাঁকে বোঝাচ্ছিলেন, সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু সব শেষে যা ঘটল, তা দেখে বোধ হয় চোখের জলে ভেসে যাচ্ছে নেটদুনিয়া।
ক্যানসার আক্রান্ত ওই মহিলার কষ্টে সহমর্মী হয়ে হঠাৎ নিজের চুলে রেজ়ার চালিয়ে দিলেন। নিমেষে মাথা কামিয়ে ফেললেন, তাঁকে শান্ত করতে। এক সালোঁ কর্মীর এমন অমায়িক ব্যবহারে আপ্লুত নেটাগরিকরা। কেউ লিখছেন, “চোখের জল ধরে রাখতে পারছি না। এমন সহানুভূতি, এমন ভালবাসা!” আর এক জন লিখেছেন, “ভালবাসার আর এক নাম সহানুভূতি এবং সহমর্মিতা।” আবার এক জন লিখেছেন, “এই বিশ্বে এখনও ভালবাসা বেঁচে আছে।” তবে সালোঁটি কোন জায়গার, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।