কমছে পুরুের যৌন ক্ষমতা। ছবি: সংগৃহীত
নানা কারণে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব বাড়ছে। তার মধ্যে একটি কারণ কোভিডও। একই সঙ্গে কমছে শুক্রাণু উৎপাদনের ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, ক্ষতি হচ্ছে সার্বিক স্বাস্থ্য এবং যৌন ক্ষমতার। যদিও চিকিৎসকেরা বলছেন, জীবনযাত্রায় সাধারণ কয়েকটি বদল আর কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে এই সমস্যার পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে ফেলা যায়।
পুরুষেরা এই ধরনের সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন? দেখে নেওয়া যাক।
ফোন প্যান্টের পকেটে: দেখা গিয়েছে, ফোনের থেকে বিকিরিত হওয়া তরঙ্গ শুক্রাণুর উৎপাদন কমিয়ে দেয়। সার্বিক ভাবে প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি করে। তাই ফোন প্যান্টের পকেটে রাখবেন না।
মদ্যপান: যে পুরুষরা নিয়মিত মদ্যপান করেন এবং বেশি পরিমাণে করেন, তাঁদের শুক্রাণু উৎপাদন কমে। প্রভাব পড়ে যৌন সম্পর্কের আগ্রহের উপরও। সেটি কমতে থাকে মদ্যপানের ফলে।
ধূমপানেও তাই: একই রকম প্রভাব পড়ে ধূমপানেরও। এমনকি মদ্যপানের চেয়ে ধূমপানে বেশি ক্ষতিও হতে পারে।
অতিরিক্ত গরম: খুব গরম পড়লে যেমন পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস পায়, তেমনই খুব আঁটোসাঁটো অন্তর্বাস পরলেও কমে যায় যৌন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ। কারণ প্রজনন অঙ্গ বা তার আশপাশে উত্তাপ বাড়লে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে।
দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা: হালের এক গবেষণা বলছে, যে পুরুষরা দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকেন, বা একই অবস্থায় বসে দীর্ঘ ক্ষণ অফিসের কাজ সামলান, তাঁদের শুক্রাণু উৎপাদন কমে যায়। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চলাফেরা করা খুব দরকারি।
প্যাকেটের খাবার: দীর্ঘ দিন প্যাকেটে জমিয়ে রাখা খাবার খেলেও পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়তে পারে। পুরুষদের এই জাতীয় খাবার যত দূর সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
ভিটামিন ডি-এর অভাব: এই জাতীয় ভিটামিন আছে, এমন খাবার দীর্ঘ দিন না খেলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। ডিম, সামুদ্রিক মাছে এই ভিটামিন প্রচুর থাকে। যাঁরা এগুলি খান না, বা গায়ে একেবারে রোদ লাগান না— তাঁদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি-র অভাব মেটানো।