Cancer Fight

একটু সচেতনতাই পারে ক্যানসারের হাত থেকে শিশুদের বাঁচিয়ে দিতে

প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে প্রায় ৯৬ থেকে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে ফেলা যায় শিশুদের ক্যানসার।

Advertisement

সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:০১
Share:

একটু সচেতনতাই পারে শিশুদের সুস্থ রাখতে। ছবি: সংগৃহীত

সারা পৃথিবী জুড়েই ১২ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ছে। ছোটদের ক্যানসারের কয়েকটি নির্দিষ্ট উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকলে, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা যায়। এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে প্রতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ডহুড ক্যানসার ডে’। চলতি বছরেও শিশুদের ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সচেতনতাকে।

Advertisement

১২ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে সব থেকে বেশি দেখা যায় বিশেষ ধরনের রক্তের ক্যানসার। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে প্রায় ৯৬ থেকে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে ফেলা যায় এই ক্যানসার। এমনটাই বললেন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের (সিএনসিআই) ক্যানসার বিশেষজ্ঞ কল্যাণকুসুম মুখোপাধ্যায়।

ভারতীয় ক্যানসার সোসাইটির হিসেবে বছরে প্রায় ৫০ হাজার শিশু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’-এর হিসেবে এ দেশে প্রতি বছর ২০ হাজারেরও বেশি শিশুর রক্তের ক্যানসার হয়। এই ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানা যায়নি। কল্যাণকুসুম জানালেন, রক্তের ক্যানসারের পর শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মস্তিষ্কের ক্যানসার এবং সারকোমা (হাড় ও নরম টিস্যুর ক্যানসার)। ক্যানসারের উপসর্গগুলি খুব নির্দিষ্ট নয়, তাও একটু সচেতন থাকলে আর শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগটাকে আটকে দেওয়া যায় বলে মত কল্যাণকুসুমের।

Advertisement

ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ

  • শিশু দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করে। অল্পেই ক্লান্ত হয়ে যায়। ছোটাছুটি বা খেলা করতে চায় না। ঝিমিয়ে থাকে।
  • ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে।
  • খিদে কমে যেতে পারে।
  • রক্তের ক্যানসারে মাড়ি, নাক বা শরীরের যে কোনও অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
  • চোট না পেলেও শরীরের নানা অংশে কালশিটে দাগ পড়তে পারে রক্তের ক্যানসারে।
  • টানা অল্প জ্বর হয়।
  • নাক, কান, গলা ও ফুসফুসে বারে বারে সংক্রমণ হতে পারে।
  • মস্তিষ্কে ক্যানসার যুক্ত টিউমার হলে মাথা ব্যথা ও বমির প্রবণতা বাড়ে।

কল্যাণকুসুম জানালেন, আমাদের দেশে শিশুদের ক্যানসার সেরে যাওয়ার হার ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। ভারতে এই নিয়ে সমীক্ষা চলছে। এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকদের অনুমান, চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়াই এর জন্য দায়ী। তবে উপরে লেখা উপসর্গগুলি দেখা দেওয়া মানেই ক্যানসার— এমনটা ভাবা ঠিক নয়। অন্যান্য কারণেও এসব উপসর্গ দেখা যেতে পারে। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা এ ক্ষেত্রে দরকারি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement