সুগন্ধি ব্যবহারের নিয়মকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে ঘাম কম হয়। তার মানেই যে সুগন্ধি মাখার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, তা কিন্তু নয়। ডিয়োডোর্যান্ট সারা বছরের সঙ্গী। বছরের সব সময় সুগন্ধে ভরে থাকতে আর উপায়ই বা কী! সুগন্ধি মাখলে নিজেকে সতেজ লাগে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, সুগন্ধি ব্যবহারেরও কিছু নিয়ম রয়েছে। অনেকেই এটি ব্যবহারে বেশ কিছু ভুল করে ফেলেন। তাতে লাভ কিছু হয় না। তাই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই ভুলগুলি এড়িয়ে চলা জরুরি।
১) ঘর্মাক্ত শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করা মানে উলুবনে মুক্তো ছড়ানো। যত বেশি সুগন্ধি মাখুন না কেন, সতেজতা আসে না। সুগন্ধি সব সময় পরিষ্কার ত্বকে লাগানোই শ্রেয়। তবে যদি আগে থেকেই কোনও ক্রিম কিংবা ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে থাকেন, তা হলে গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
২) বাজারচলতি সুগন্ধি কেনার আগে ত্বকের ধরন, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার কথা মাথায় রাখা জরুরি। স্প্রে সুগন্ধিতে অ্যালকোহলের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য তা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে যে ডিয়োডোর্যান্টে অ্যালকোহলের পরিমাণ কম, সেগুলি কেনাই ভাল।
ঘর্মাক্ত শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করা মানে উলুবনে মুক্তো ছড়ানো। ছবি: সংগৃহীত।
৩) সকালের দিকে সুগন্ধি কম ব্যবহার করার কথা বলেন অনেকেই। কারণ, তাতে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। সন্ধ্যায় স্বেদগ্রন্থিগুলি কম সক্রিয় থাকে এবং আর্দ্রতাও কম থাকে। ফলে সুগন্ধি মাখলেও ত্বকে কোনও সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।