প্রতীকী ছবি।
চিনি খাওয়া ভাল নয়। এ কথা এত দিনে সকলের মনে বসে গিয়েছে। তাই বলেই তো আর মিষ্টির লোভ যায়নি। ফলে বেড়েছে অন্য ভাবে তৈরি মিষ্টির চাহিদা।
১৮৭৮ সালে প্রথম এই পদার্থ তৈরি হয়। অন্য কোনও রাসায়নিক বানাতে গিয়ে ভুল করে স্যাকারিন তৈরি করে ফেলেন এক গবেষক। সেই থেকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়েছে এই বস্তু। প্যাকেটবন্দি খাবার থেকে বোতলবন্দি পানীয়, সবেতেই গিয়েছে স্যাকারিন। ক্যালোরি কম, কিন্তু শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। হালে নানা ধরনের নকল চিনি ধীরে ধীরে বাজারে ছড়িয়েছে। ঘরে ঘরে এই নকল চিনি পরিচিত হয়েছে সুগার ফ্রি নামে।
প্রতীকী ছবি।
ওজন কমাতে হলে বহু চিকিৎসকই নকল চিনি কিংবা সুগার ফ্রি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডায়াবিটিসের রোগীদেরও এই স্যাকারিন খেতে দেখা যায়। কিন্তু তাতে কি সব দিক থেকে স্বাস্থ্যরক্ষা সম্ভব?
বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেদের একাংশ এখনও নকল চিনি খাওয়ায় কোনও ক্ষতি দেখেন না। কিন্তু আর এক অংশ খানিক সন্দেহের চোখেই দেখে থাকে এই জিনিসটিকে। রোজ নকল চিনিযুক্ত খাবার খেলে পেটের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন সেই চিকিৎসকেরা।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই ধরনের চিনি আসল চিনির থেকে হজম করা কঠিন। ফলে নিয়মিত এই ধরনের চিনি খেলে পেটে বায়ু জমে যাওয়া, খেতে ইচ্ছা না করার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার ফ্রি খেলে তার থেকে ডায়েরিয়ার আশঙ্কাও থাকে বলে মত চিকিৎসকেদের একাংশের।