ছবি: গেটি ইমেজেস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার ছাত্রটি যখন বাড়ি পৌঁছেছিল, অনেকটাই গড়িয়েছে রাত। পথ বুঝতে না পেরে উত্তর কলকাতার সুনসান গলিতে প্রায় হারাতেই বসেছিল রাহুল। ওই সময়ই মুশকিল আসান হয়ে এল রাহুলের স্মার্টফোনে থাকা একটি বিশেষ অ্যাপ ‘ওয়াকিটকি’। সেই অ্যাপের সাহায্যে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছে গেল দৃষ্টিশক্তিহীন রাহুল। যাদের দৃষ্টিশক্তি তুলনায় দুর্বল কিংবা পুরোপুরি অন্ধ, তাদের সাহায্যেও রয়েছে নানা অ্যাপ। আজ রইল তারই কয়েকটির সন্ধান।
আইডিয়াল অ্যাকসেসিবিলিটি অ্যাপ ইন্সটলার: গুগলের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্যাকেজ। দৃষ্টিশক্তিহীনদের জন্য মোবাইল ফোন সহজে অপারেট করার ক্ষেত্রে যাবতীয় সমস্যার মুশকিল আসান। এই অ্যাপেই একসঙ্গে থাকে টকব্যাক, কিকব্যাক ও সাউন্ডব্যাক ফিচার।
গুগল টকব্যাক: ফোন ডিভাইসের সঙ্গে সব রকমের সংযোগস্থাপনের একটি মাধ্যম গুগলের এই অ্যাপ্লিকেশন। এর ভয়েসওভারের মাধ্যমে মোবাইলের যে কোনও ফাংশন সহজেই ব্যবহার করা যায়। টেক্সট পড়ে শোনায়।
ওয়াকিটকি: দৃষ্টিশক্তিহীনদের জীবনে সব থেকে বড় সমস্যা হয় ঘরের বাইরে গেলে। পথেঘাটে চলতে ওয়াকিং স্টিক বা অন্য অন্য কারও সাহায্য নিতেই হয়। সেই সমস্যা মেটায় এই অ্যাপ। প্রতি মুহূর্তে আপডেট দিতে দিতে নির্দিষ্ট পথে নিয়ে যায় এই অ্যাপ। ভুল পথে পা বাড়ালে ভাইব্রেট করে নিজে থেকেই সতর্ক করে দেয়।
ম্যাগনিফাই: ফোনে এই অ্যাপ থাকলে অন্ধকারের মধ্যেও সহজেই পড়তে পারবেন। পড়া যাবে অস্পষ্ট লেখাও। সঙ্গে থাকে একটি ফ্ল্যাশলাইটও। মূলত যাদের দৃষ্টিশক্তি কম, তাদের জন্য বেশ কাজের হতে পারে এই অ্যাপ।
নোএলইডি: টেক্সট মেসেজ, ভয়েস মেসেজ, মিসড্ কলের মতো নানা নোটিফিকেশন বিশেষ আইকন বা ডটের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে এই অ্যাপ। দুর্বল দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি কাজের অ্যাপ।
লুক টেল মানি রিডার: টাকাকে মুহূর্তেই চিনে ফেলতে পারে। আপনার টাকার পরিমাণও বলে দেবে এর ভয়েসওভার।
চোখ রাখুন আরও কিছু অ্যাপে— ব্লাইন্ড স্কোয়্যার, গুগল ব্রেইলব্যাক, কেএনএফবি রিডার অ্যাপ, ট্যাপট্যাপসি, বি মাই আইজ়, টকব্যাগ, কালার আইডি ফ্রি, ওমোবি।