৩৭৯ রকম পদ রান্না করার কথা কেউ কল্পনা করতে পেরেছেন কোনও কালে? ছবি- টুইটার।
‘রাজকীয়’ বললেও কম বলা হয়। এমনই খাবারের বাহার। মকর সংক্রান্তিতে যেমন বাংলায় ঘরে ঘরে পালিত হয় পৌষপার্বণ, তেমনই ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে সাড়ম্বরে পালিত ‘পোঙ্গল’ উৎসব। সেই উপলক্ষেই অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরুর বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী ভিমা রাও এবং তাঁর স্ত্রী ঠিক করেন, তাঁদের একমাত্র জামাইকে থালা সাজিয়ে নানা রকমের খাবারের পদ খাইয়ে একেবারে চমকে দেবেন। অবশ্য এই প্রথা নতুন নয়। অন্ধ্রপ্রদেশে এমন রীতি চলে আসছে বহু যুগ ধরেই। কিন্তু তাই বলে ৩৭৯ রকম পদ রান্না করার কথা কেউ কল্পনা করতে পেরেছেন কোনও কালে?
অবশ্য গত বছরই পশ্চিম গোদাবরী জেলার এক দম্পতি তাঁদের জামাইকে বছরের প্রতিটি দিনের হিসাবে একটি করে, মোট ৩৬৫টি খাবারের পদ রান্না করে দিয়েছিলেন। তবে এ বার সেই সংখ্যাটা ছাপিয়ে গিয়েছে।
কিছু দিন আগেই ভীমা রাওয়ের মেয়ে কুসুমার সঙ্গে মুরলীধরনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এটিই তাঁদের প্রথম সংক্রান্তি। তাই শ্বশুর-শাশুড়ি হিসাবে নতুন জামাইকে চমকে দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল।
ওই ব্যক্তির জামাই, পেশায় স্থাপত্যশিল্পী বুদ্ধ মুরলীধরন বলেন, “এই বিশেষ উৎসব উপলক্ষে জামাই আদরের কথা আমি আগেই শুনেছিলাম। তাই রাও পরিবারের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে আর সময় নষ্ট করিনি। খাবারের এত পদ দেখে প্রথমে চমকে গেলেও একটু একটু করে সব ক’টি পদ চেখে দেখেছি।”
মা-বাবার আয়োজন দেখেন মুগ্ধ মেয়েও। কুসুমা বলেন, “গত ১০ দিন ধরে আমার মা-বাবা একটু একটু করে এত কিছু জোগাড় করেছেন। ৩৭৯টি খাবারের পদ যে হতে পারে, তা ভাবতেই পারিনি আমরা।”