আরও সন্তানের জন্ম দিতে চান আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা কাইল জর্ডি। ছবি: সংগৃহীত
বয়স ৩১। এর মধ্যেই ৫৭ সন্তানের বাবা। কিন্তু এখনই থামতে চান না। আরও সন্তানের জন্ম দিতে চান আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা কাইল জর্ডি। তাই নিজের শুক্রাণুর ঘনত্ব বজায় রাখতে যৌনমিলন থেকে পুরোপুরি বিরত থাকতে চান তিনি। কাইল আসলে নিয়মিত শুক্রাণু দান করেন। কাইলের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে সন্তানধারণে ইচ্ছুক নিঃসন্তান মহিলাদের সন্তানসুখ দেন তিনি। আগে কেবল শুক্রাণু দানের মাধ্যমে নয়, সরাসরি শারীরিক মিলনের মাধ্যমেও সন্তানের জন্ম দিতেন তিনি। তবে এ বার সেই পথ থেকে সরে আসতে চান তিনি।
কাইলের দাবি, শুক্রাণু দান করাই তাঁর নেশা। তবে বর্তমানে তিনি কেবল ক্লিনিকেই শুক্রাণু দান করেন। আমেরিকার পাশাপাশি সম্প্রতি ব্রিটেন ও ফ্রান্সে গিয়েও নারীদের মাতৃত্বের স্বাদ দিয়েছেন তিনি। তবে এখন, দানের সময় আসার আগে পর্যন্ত নিজের শুক্রাণু সঞ্চয় করে রাখতে চান তিনি। এই কারণেই আর শারীরিক মিলনে আগ্রহী নন কাইল। পাশাপাশি তিনি চান না, সঙ্গমের মাধ্যমে কোনও যৌনরোগের জীবাণু প্রবেশ করুক শরীরে। তাই নিজেকে আরও ‘দায়িত্ববান’ করাই লক্ষ্য তাঁর।
প্রত্যেক বার দান করার আগে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে পরীক্ষা করা হয় শুক্রাণুর ঘনত্ব। ছবি: সংগৃহীত
কাইলের দাবি, শীঘ্রই আরও ১৫ সন্তানের বাবা হতে চলেছেন তিনি। নেটমাধ্যমে কাইল জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, মাঝেমধ্যেই অনলাইনে বিভিন্ন দেশ থেকে সন্তানধারণে ইচ্ছুক মহিলারা যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। বীর্যে শুক্রাণুর ঘনত্ব যাতে না কমে, তার জন্য রীতিমতো নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া করেন কাইল। প্রত্যেক বার দান করার আগে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে পরীক্ষা করা হয় শুক্রাণুর ঘনত্ব। দাতার কোনও যৌনরোগ আছে কি না, পরীক্ষা করে দেখা হয় তা-ও। সব যথাযথ থাকলে তবেই শুক্রাণু নেওয়া হয়। পৃথিবীর একাধিক দেশে শুক্রাণুদাতার পরিচয় গোপন রাখা হয়। তবে কাইল গোপনীয়তা খুব একটা পছন্দ করেন না। বরং যাঁরা তাঁর শুক্রাণু নিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে আগে থেকে আলাপ করতে পছন্দ করেন। কাইলের দাবি, নিজের সব সন্তানকেই সমান ভালবাসেন তিনি।