হাসপাতালের বদলে বাইরে চেম্বারেই তাঁর দেখা মেলে বেশি। হাসপাতালে ওষুধ থাকলেও রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে পরামর্শ দেন। আমতা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচের বিরুদ্ধে এমনই নানা অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিলেন সিএমওএইচ। দিন কয়েক আগে হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘আমরা হাসপাতাল পরিদর্শন করে যা যা অনিয়ম দেখেছি, তা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে রিপোর্টে জানিয়েছি।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দীঘর্দিন ধরেই ওই বিএমওএইচের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল। রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসকের দেখা পেতেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে বহু সময়েই মেডিক্যাল অফিসার মৃণাল সাহা দায়িত্ব সামলান। হাসপাতালে ওষুধ থাকলেও রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বলা হত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি সিএমওএইচ, স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা, বিধায়ক নিমর্ল মাজি হাসপাতালে যান। রোগী ও হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। নির্মলবাবু বলেন, ‘‘রোগীরা ঠিকমত চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ আসছিল। এখানে সকলের সঙ্গে কথা বলার পর বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে। এবিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে।’’ অভিযোগ করে দেবশঙ্কর মান্নার যুক্তি, ‘‘বাইরে রোগী দেখলেও হাসপাতালে যথাযথ ডিউটি করি।’’ অন্যান্য অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।