কত দিন অন্তর টুথব্রাশ বদলাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিটি জিনিসেরই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। দোকান থেকে ওষুধ, খাবার কিংবা পানীয় কিনতে গেলেও ‘এক্সপায়ারি ডেট’ দেখে নেন। প্রসাধনীর ক্ষেত্রেও তাই। শুধু দাঁত মাজার ব্রাশের বেলাতেই কেমন গড়িমসি ভাব! অথচ দাঁত ভাল রাখার প্রধান অস্ত্র হল মাজন এবং ব্রাশ। মাজন শেষ হয়ে গেলেই কিনে ফেলেন। কিন্তু ব্রাশ কিনতে গেলেই আঠারো মাসে বছর। দাঁত মাজতে মাজতে ব্রাশের ব্রিসল্স ক্ষয়ে গেলেও তা বদলানোর কথা মনে হয় না অনেকেরই। তবে দাঁতের চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মাজন, মাউথওয়াশের মতো ব্রাশেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
কখন নতুন ব্রাশ কিনতে হবে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, একই ব্রাশ দিনের পর দিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাই তিন মাস অন্তর বদলাতে হবে ব্রাশ। অনেকে ব্রাশের ব্রিসল্স নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও সেই ব্রাশ ব্যবহার করতে থাকেন। এই ধরনের ব্রাশ একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। তা ছাড়া সংক্রমণজনিত কোনও রোগ থেকে সেরে ওঠার পর ব্রাশ বদলে ফেলা জরুরি। কারণ, ওই রোগের ব্যাক্টেরিয়া লালাবাহিত হয়ে ব্রাশের খাঁজে খাঁজে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। পরবর্তী কালে ওই ব্রাশ থেকেই আবার রোগ ছড়াতে পারে। আবার দাঁত তোলার পর বা মুখের ভিতরে কোনও রকম অস্ত্রোপচার করানোর পরেও দাঁত মাজার ব্রাশ বদলে ফেলা প্রয়োজন।
একই ব্রাশ দিনের পর দিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
ইদানীং আবার দাঁত মাজার জন্য বৈদ্যুতিক ব্রাশ ব্যবহার করার চল হয়েছে। সে ক্ষেত্রেও দু-তিন মাস অন্তর বদলে ফেলা উচিত ব্রাশের মাথা। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণ ব্রাশের তুলনায় এই ধরনের ব্রাশগুলির ব্রিসল্স কিন্তু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। দাম দিয়ে কিনেছেন বলে বছরের পর বছর তা ব্যবহার করে যাবেন, এমনটা হবে না।