ড্রাগ, অ্যালকোহলের মতো কিছু নেশার সামগ্রীতে আসক্তের সংখ্যা প্রায় ৬ শতাংশ। ছবি-প্রতীকী
‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো’-র সাম্প্রতিক কালের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রতি ১০ লক্ষে ১২০ জনের মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা। লকডাউন চলাকালীন বেকারত্ব, সম্পর্কের অবনতি, অবসাদ— ২০২০ সালের ‘এনসিআরবি’ রিপোর্টে এমন কয়েকটি কারণকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছিল।
সম্প্রতি ‘এনসিআরবি’ আত্মহত্যা সংক্রান্ত আরও একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে সারা দেশে প্রায় ৫.৬ শতাংশ মানুষ আত্মহত্যার কারণ অত্যধিক মাদকাসক্তি। ২০২০ সালে দেশে মোট আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ১.৫ লক্ষেরও বেশি। তার মধ্যে ড্রাগ, অ্যালকোহলের মতো কিছু নেশার সামগ্রীতে আসক্তের সংখ্যা প্রায় ৬ শতাংশ। ২০১৫ সাল থেকে নেশার কবলে পড়ে আত্মহত্যার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মুম্বই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, কেরল ও তামিলনাড়ু। ২০২০ সালে, এই রাজ্যগুলি নেশায় আসক্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান হোক বা অল্প, ক্ষতি কিন্তু দু’টিতেই। ছবি-প্রতীকী
বেশ কয়েক বছরের সমীক্ষা একত্রিত করে ‘এনসিআরবি’ এই নতুন রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য মদ্যপানে আসক্ত। নেশার কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে না পেরে, ২০২০ সালে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। প্রতি বছর মদ খেয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন, এই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়।
শুধু দেশে নয়, গোটা বিশ্বে মাত্রাতিরিক্ত মাদকাসক্তদের মধ্যে ২৭ শতাংশই অল্প বয়সি। কম বয়সে কাজের বিপুল চাপ, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জটিলতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়া, সব মিলিয়ে অবসাদ গ্রাস করছে। সেই অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে মদকেই বেছে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান হোক বা অল্প, ক্ষতি কিন্তু দু’টিতেই। ফলে মাত্রাছাড়া মদ্যপান ঠিক নয়। এর প্রভাব শরীর এবং মনের উপর পড়ে।