শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ হয়ে, অজন্তা তার গ্রাহকদের প্রতি পদে নিজেদের পায়ের কথা শুনে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে উপদেশ দিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে তাদের জন্য সঠিক ফুটওয়্যার বেছে নেওয়ার বিষয়টিও।
অজন্তা শ্যু’জ-এর নতুন ক্যাম্পেইন
যে কোনও মানুষের জীবনেই জুতোর গুরুত্ব কতটা তা বোধ হয় বলে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। তবে সময় বদলেছে। এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের মানুষ ফ্যাশন নিয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠেছেন। সেই সঙ্গে স্টাইল ও কমফোর্ট তো রয়েছেই। গ্রাহকদের সেই বিচক্ষণতাকে কুর্ণিশ জানিয়ে নতুন ক্যাম্পেইন নিয়ে হাজির হয়েছে ভারতের অন্যতম সেরা ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড অজন্তা শু’জ। ক্যাম্পেইনের থিম ‘পায়ের কথা শোনো’। আমরা প্রত্যেকেই জীবনে চলার পথে কখনও কখনও নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়ে ফেলি। আবার কখনও পরিস্থিতির কারণে সিদ্ধান্ত নিয়ে পারি না; বা আত্মবিশ্বাসের অভাবে পিছিয়ে যাই। অজন্তা শু’জ-এর এই ক্যাম্পেইনটি গ্রাহকদের সেই আবেগকেই যেন ছুঁয়ে গিয়েছে। বলা ভাল, সকল বাধা-নিষেধের শিকল ভেঙ্গে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাভাবিক ইচ্ছাকে সম্বোধিত করছে এই ক্যাম্পেইনটি।
এই বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে অজন্তার দুই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর — সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও পরিণীতি চোপড়াকে। যে বিজ্ঞাপনে দু’জনেই বলছেন ‘পায়ের কথা শোনো’ (প্যারোঁ কি সুনো)। তাঁদের এই বক্তব্য গ্রাহকের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে সঠিক ফুটওয়্যার চয়ন করার বিষয়টিও।
অজন্তা শু'জ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাগ্নিক বণিকের মতে, “এই ক্যাম্পেইনটি একই সঙ্গে সুপার স্টাইলিশ ও আরামদায়ক ফুটওয়্যার তৈরিতে অজন্তার প্রযুক্তিগতভাবে এক ধাপ এগিয়ে থাকার নিরন্তর প্রচেষ্টার প্রতিরূপ। ‘পায়ের কথা শোনো’— এই লাইনটি অজন্তা ফুটওয়্যার ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যের কথাই তুলে ধরে।”
শুধু উপভোক্তামূলক ভাবনাই নয়, এই ক্যাম্পেইনটি সঠিকভাবে ব্র্যান্ডের ঐতিহ্য এবং দর্শনকেও তুলে ধরেছে। ১৯৫৬ থেকে অজন্তা শু’জ তাদের গুণমানের কারণে দেশের মানুষের অন্যতম ভরসাযোগ্য ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। গোটা দেশে অজন্তার ৩টি প্রস্তুতকারী ইউনিট রয়েছে। সেখানে যে প্রযুক্তিতে জুতো তৈরি হয়, তা আউটসোর্সিংয়ের উপর নির্ভরশীল সংস্থাগুলির দ্বারা সম্ভব নয়। বাইরে থেকে আউটসোর্স করা ও গুণমানের দিকে গুরুত্ব না দেওয়ার প্রচলিত ধারার বিপরীতে হেঁটে, অজন্তা তাদের নিজস্ব পথ তৈরি করেছে।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাগ্নিক বণিক জানান, “আমাদের লক্ষ্য হল, আমরা সেরা প্রযুক্তি দিয়ে কম দামের সেরা জুতো তৈরি করবো। যাতে বেশিরভাগ মানুষ আমাদের জুতো উপভোগ করতে পারেন। আর সেই কারণেই কোনও উপভোক্তা যদি তাঁর পায়ের কথা শুনে অজন্তা ফুটওয্যারকে বেছে নেন, তা হলে তার পা দু’টি তথাকথিত বড় ব্র্যান্ডের উচ্চ মূল্যের ফুটওয়্যার পরার মতো একই রকম স্বাচ্ছন্দ্য অনেক কম দামে উপভোগ করতে পারবেন।”
অজন্তা শু'জ-এর স্পোর্টস বা অ্যাথলেজার ব্র্যান্ড, ইমপ্যাক্টো, বাজারে বিভিন্ন স্টাইল-এর স্পোর্টস জুতোর সম্ভার নিয়ে প্রতিবছরের মতো এই বছরও হাজির হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সেরা মানের অ্যান্টি স্কিড রাবার এবং বাউন্সি সোল। যা দৌড়বিদ, বা স্ট্রিট ড্যান্সার ও বি-বয় শিল্পীদের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তা ছাড়া অজন্তার সম্ভারে রয়েছে ক্লাসি এথনিক, ফর্মাল এবং ক্যাজুয়াল রেঞ্জের বিভিন্ন জুতো।
অজন্তা আসলে বরাবরই দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। সেই কারণেই শুরুর সময় থেকে এই ব্র্যান্ড যা যা বলে এসেছে, ঠিক সেগুলিই করে এসেছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই একটি ৬৫০ কিলোওয়াট -এর সোলার প্ল্যান্টের স্থাপনা করেছে যা ৩০,০০০টি গাছ লাগানোর সমান। এছাড়াও ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু আসতে চলেছে, যা অবাক করে দেবে উপভোক্তাদের।
অজন্তার পণ্যে ব্যবহৃত পি.ইউ. প্লাস্টিক উত্পাদনে পুনর্ব্যবহার করা হয়। এই সংস্থা উৎপাদনে ব্যবহৃত জল পুনরায় ব্যবহার করে। প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা থামাতে ন্যূনতম চামড়ার ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অজন্তা দেশের কফিশপগুলি থেকে কফি বিনের নির্যাস সংগ্রহ করে তা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে।
অতএব, শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ হয়ে, অজন্তা তার গ্রাহকদের প্রতি পদে নিজেদের পায়ের কথা শুনে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে উপদেশ দিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে তাদের জন্য সঠিক ফুটওয়্যার বেছে নেওয়ার বিষয়টিও।
এই প্রতিবেদনটি অজন্তা ফুটওয়্যারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।