Air pollution

বায়ুদূষণের জেরেই ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়, দাবি গবেষণায়

হাড়ের ক্ষয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে বায়ুদূষণের যোগ থাকার কথা নয়। কিন্তু গবেষণা তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছে কি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৪
Share:

দূষণের প্রভাব বোঝা যায় হাড়ে হাড়ে! ছবি- সংগৃহীত

ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের শরীর থেকে অস্বাভাবিক হারে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বাতাসে বাড়তে থাকা দূষণ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মেলম্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্‌থ’-এর সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

Advertisement

গবেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যা বেড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু তার সঙ্গে বায়ুদূষণের যে কোনও যোগ থাকতে পারে, তা নিয়ে পরীক্ষানিরিক্ষা এই প্রথম। ১,৬১,৮০৮ হাজার মহিলা, যাঁদের মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের উপর করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট বয়সের আগেই তাঁদের হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে অস্বাভাবিক ভাবে। ‘লাম্বার স্পাইন’ অর্থাৎ। মেরুদণ্ডের একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে নাইট্রাস অক্সাইডের অস্তিত্ব। যা নির্দিষ্ট বয়সের আগেই হাড় ভঙ্গুর করে দেয়। ঘরের মধ্যে থাকলেও অংশগ্রহণকারীরা দূষণের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এই সমীক্ষা শুরুর আগে গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের হাড়ের ‘ডুয়াল এক্স-রে’ করে ঘনত্বের পরিমাপ নিয়েছিলেন। তার পর ক্রমান্বয়ে প্রথম বছর, তার পর তৃতীয় বছর এবং ষষ্ঠতম বছরে আবার মেপে দেখা হয় ওই অংশগ্রহণকারীদেরই হাড়ের ঘনত্ব। গবেষকদের প্রধান ডিডিয়ার প্রাডা বলেন, “মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ বায়ুদূষণ হলেও হতে পারে। কারণ, সমীক্ষার প্রথম বছরেই অংশগ্রহণকারীদের হাড়ে মিলেছে নাইট্রোজেন অক্সাইডের অস্তিত্ব। মেরুদণ্ডের ওই নির্দিষ্ট জায়গার হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কিন্তু বিশেষ ওই যৌগটি। যা পরিবেশ দূষণের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement