বাড়িতে নিজেই যত্ন নিন এসির। ফাইল ছবি।
প্রবল গরম, আবার বৃষ্টি। আর্দ্রতাও প্রচুর। এই সময়টায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন ছাড়া থাকতে পারেন না অনেকেই। এদিকে এসি মেকানিককে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । কিংবা খুঁজে পেলেও করোনা আবহে বাড়িতে বাইরে থেকে কেউ আসবেন ভেবেও আতঙ্ক। তাই মেশিন পরিষ্কার ও দেখভালও নিজেই করে ফেলতে চাইছেন অনেকেই।
যে কোনও গ্যাজেট ভাল রাখার প্রথম শর্ত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। বছরে একবার সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়াই ভাল। বেশিরভাগ বাড়িতে শীতের সময় এসি মেশিন ব্যবহার হয় না। ব্যবহারের আগে ধুলো ময়লা পরিষ্কার করে না নিলে একদিকে মেশিন ঠান্ডা হতে সময় বেশি লাগে। অন্যদিকে বাড়তি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় বলে বিলের বোঝা বাড়ে।
রোজকার ব্যবহারের জন্য অন্যান্য মেশিনের মতই এয়ারকন্ডিশনারেরও কিছু ওয়্যার অ্যান্ড টিয়ার হয়। আর এসব ফেলে রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন চালাতেই থাকলে আচমকা দুম করে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: করোনা-আবহে এই ফলের রস হতে পারে রক্ষাকর্তা
বাড়িতে সাধারণত দু রকমের এয়ারকন্ডিশনার মেশিন ব্যবহার করা হয়। স্পিল্ট এবং উইন্ডো এসি, ইদানিং বড় হল ঘরের জন্যে অনেকেই টাওয়ার এসিও ব্যবহার করছেন। স্পিল্ট এসি ঘরের সিলিংয়ের কাছাকাছি লাগানো হয় বলে পরিষ্কার করতে অসুবিধা হয়। তবে ভাঁজ করা সিঁড়ি থাকলে মেশিন পরিষ্কার করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন: স্রেফ নুন-জল গার্গলেই জব্দ করোনা, বলছে গবেষণা
এসি পরিষ্কার রাখতে কী কী মেনে চলতে হবে?
১. এসি মেশিনের বাইরে ও ভিতরে ধুলো ময়লা জমলে সহজে ঠান্ডা হয় না। তাই আসবাব মোছার মতো নিয়ম করে মেশিনের চারপাশ শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার রাখুন।
২. এসির সুইচ ঠিক কাজ করছে কি না চেক করে নিতে হবে।
৩. অনেকেই গরমের দিনে ১৬ ডিগ্রিতে এসি চালান। কিন্তু এখন ২৪- ২৫ ডিগ্রিতে চালিয়ে রাখলে মেশিনে বাড়তি চাপ পড়ে না। শুরুতে কিছুক্ষণ কম তাপমাত্রায় চালিয়ে নিয়ে তারপর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে।
৪. ঘরের জানলা দরজা ভাল করে বন্ধ না রাখলে মেশিনে বাড়তি চাপ পড়ে ঘর ঠান্ডা হতে দেরি হয়।
৫. এসি মেশিনের এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা দরকার।মেশিনের ঢাকা খুলে নিয়ে ফিল্টার বের করে নিন। শুকনো ধুলো ঝেড়ে নিয়ে ঈষদুষ্ণ সাবান জলে ডুবিয়ে ভাল করে ধুয়ে জল ঝেড়ে শুকনো করে নিয়ে ফিল্টার লাগাতে হবে।
৬. ময়লা জমলে মেশিন ঠিকমত ঠান্ডা হয় না। ফিল্টার লাগানোর সময় সুইচ অন করে দেখে নিতে হবে বাতাস ঠিক মত বেরোচ্ছে কি না।
৭. শক যেন না লাগে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।ভিজে হাতে সুইচে বা মেশিনে দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। দরকার হলে রাবারের শুকনো চটি পরতে হবে।
৮. ইভাপরেটর কয়েল বাইরে থেকে পরিষ্কার করে মুছে রাখতে হবে। আউটডোর ইউনিট নিজেরা পরিষ্কার না করাই ভাল। শুধুমাত্র ধুলো ময়লা পরিষ্কার করে মুছে নিলেই যথেষ্ট।
৯. শীতকালে আউটডোর ইউনিট চাপা দিয়ে রেখে দিলে ভাল হয়। বিল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছুক্ষণ চলার পর এসি বন্ধ করে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হবে।