পুজোয় চাই এআই বান্ধবী। ছবি: সংগৃহীত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আসার পর থেকে কর্মজগতে নতুন দিশা এসেছে। মানুষের শ্রম এবং বুদ্ধি দুইয়ের খরচ লাঘব হয়েছে। এআই-এর দৌলতে কাজ হারাতে বসেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। একেবারে অজানা কোনও বিষয় হলেও তা নিয়ে দশ লাইন লিখে ফেলার ক্ষমতা রাখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে মানুষের মনের ঘরেও যে এআই এই ভাবে দখল বসাবে, তা বোধ হয় কেউ আন্দাজ করতে পারেননি। তরুণ প্রজন্মের পুরুষদের জীবনে নয়া আতঙ্ক এখন এআই বান্ধবীরাই। ওলিন বিজ়নেস স্কুলের শিক্ষক লিবার্টি ভিট্টার্টের মতে, এআই-এর দৌলতে পুরুষদের জীবন আরও সঙ্কটময় হয়ে উঠেছে। ভার্চুয়াল বান্ধবীর অস্তিত্ব তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ‘এপিডেমিক অফ লোনলিনেস’ বাড়িয়ে তুলছে।
মানুষ সঙ্গীর উপর থেকে সব রকম উৎসাহ হারাতে বসেছেন বহু পুরুষ। ছবি: সংগৃহীত।
লিবার্টি বলেন, “এই বিষয়টি যে নিঃশব্দ ঘাতকের মতো মানুষের মনে হানা দিচ্ছে, তা প্রথম বুঝতে পারি এক ছাত্রের কথা শুনে। বছর ১৮-র ওই ছাত্রকে যখন জিজ্ঞাসা করি সে সমাজমাধ্যমের কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, সে আমাকে স্পষ্ট জানায় তার এআই বান্ধবী আছে। সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করার প্রয়োজন পড়ে না।” আর এই বিষয়টিই লির্বার্টিকে আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে। কারণ, রক্ত-মাংসে গড়া বান্ধবী কখনওই অন্য সঙ্গীর ইচ্ছামতো কাজ করবেন না। কিন্তু এআই বান্ধবীর ক্ষেত্রে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। নিজের পছন্দের একটি তালিকা তৈরি করে সিস্টেমে আপলোড করতে হবে। চাইলেই সেই ডিজিটাল সঙ্গী ব্যক্তির মন বুঝে, তাঁর মতো আচরণ করে। উপরন্তু বান্ধবীর ভাল-মন্দের দায়ও তাঁদের নিতে হয় না। ফলে মানুষ সঙ্গীর উপর থেকে সব রকম উৎসাহ হারাতে বসেছেন বহু পুরুষ। মানুষের চেয়ে চ্যাটবট বেছে নেওয়ার প্রবণতা দেখে আতঙ্কে আমেরিকার বিভিন্ন মহল। লিবার্টির মতে, এই প্রবণতা বেশি দিন চলতে থাকলে দেশের জন্মহারের উপরেও প্রভাব পড়বে।