প্রতীকী ছবি।
ছোটবেলায় মা-কাকিমাদের কাছে ধমক খেয়েছেন তো? ‘অত হাঁ করে থাকিস না, বাতাস ঢুকে যাবে!’ কথাটার সারবত্তা নিয়ে এতদিন সংশয় ছিল কি? এখনই ঝেড়ে ফেলুন। কারণ এমনিতেই কথা বলার সময়, খাওয়ার সময়, এমনকি হাসার সময়ও আমরা অনেকটা বাতাস খেয়ে ফেলি! কিন্তু অনেকেই মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার জন্য কিংবা আরও অন্যান্য অনেক কারণেই হাওয়া বেশি খেয়ে ফেলেন। এই সমস্যা আপনারও হয় কী? এর পোশাকি নাম অ্যারোফেজিয়া।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
এমনিতেই আমরা প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবেই বেশ খানিকটা হাওয়া গিলে ফেলি। যদিও তার অর্ধেকটাই বেরিয়ে যায় ঢেঁকুড়ের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু যাঁদের অ্যারোফেজিয়া আছে তাদের একাধিক সমস্যা দেখা যায়। যেমন ঘন ঘন ঢেঁকুড় তোলা, পেট ফাঁপা, তলপেটে ব্যথা।
শরীরে বেশি হাওয়া ঢুকে যাওয়ার কারণ কিন্তু আপনার কথা বলা, খাওয়া ও পানীয় পান করার ধরনেই লুকিয়ে আছে।
কেন এই সমস্যা হয়?
১) শরীরে বেশি হাওয়া ঢুকে যাওয়ার কারণ কিন্তু আপনার কথা বলা, খাওয়া ও পানীয় পান করার ধরনেই লুকিয়ে আছে। খেতে খেতে কথা বলা, চুয়িং গাম খাওয়া, স্ট্র দিয়ে পানীয় পান করা, ধূমপান করার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। তবে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস থাকলেও এরকম হতে পারে।
২) নাক ডাকার অভ্যাস থেকেও হতে পারে অ্যারোফাজিয়া। এছাড়া শারীরিক অসুস্থতার জন্য ননইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে থাকলেও তা থেকে অ্যারোফেজিয়া হতে পারে।
৩) আপনার কি অতিরিক্তি উদ্বেগের প্রবণতা রয়েছে? কারণ বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে মানসিক উদ্বেগ ও অ্যারোফেজিয়ার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
কী করবেন?
আস্তে আস্তে শ্বাস নেওয়া অভ্যাস করুন। মানসিক চাপ কমান। ছোট ছোট খাবারের গ্রাস মুখে তুলুন এবং খাবার ঠিক মতো চিবিয়ে খান। খাওয়ার সময় মুখ বন্ধ রাখুন। ধূমপান ও পানীয়ের অভ্যাস বন্ধ করুন। তবে সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।