অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ৭ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল ঋতাভরীর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তী ও আবীর চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘ফাটাফাটি’ ছবির প্রচারের ঝলক ও ছবির গান ‘জানি অকারণ’। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রায় ২৫ কেজি মতো ওজন বাড়াতে হয়েছিল ঋতাভরীকে।
রবিবার অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে নিজের ভোলবদলের এই সফরের কথা জানান। তিনি লেখেন, ‘‘গতকাল আমার ছবি ‘ফাটাফাটি’-র গান জানি অকারণ মুক্তি পেয়েছে। দর্শকের কাছ থেকে এত ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। এই প্রথম বার কোনও ছবির জন্য আমি এত বড় শারীরিক বদলের মধ্যে দিয়ে গেলাম।’’ অভিনেত্রী আারও লেখেন, অস্ত্রোপচারের পর আমার প্রায় ৭ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল। আমি দীর্ঘ ৬ মাস শয্যাশায়ী ছিলাম। এর পর দু’টি ছবির কাজ আসে। আমি আবার পুরনো চেহারায় ফেরার প্রস্তুতি শুরু করি। তখনই ফাটাফাটির অফার আসে। আর এই ছবির চিত্রনাট্য সব কিছু পাল্টে দেয়।’’
ছবির জন্য অনেক ওজন বাড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর। টলিউডে এর আগে এমন ঘটনা বিশেষ দেখা যায়নি। ‘ফাটাফাটি’ ছবির জন্য নিজের এই বদলের কথা বলতে গিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘যখন এই ছবির চিত্রনাট্য শুনি, তখন আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, ডবল এক্সএল মডেলের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমাকে ১৫-২০ কেজি ওজন বাড়াতে হবে। আমাকে অন্য সব ছবির অফারও হারাতে হবে তত দিন পর্যন্ত, যত দিন না আবার ওজন কমাচ্ছি। কিন্তু কিছু গল্প থাকে, যার জন্য এত কষ্ট করা যায়। আমি সব সময়ে বডি শেমিংয়ের বিপক্ষে ছিলাম। ছবির মাধ্যমে আমি সে সকল পুরুষ বা মহিলার হয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। নিজের অস্ত্রোপচারের পরও আমাকে এই ধরনের নানা কথা শুনতে হয়েছে।’’
ইনস্টাগ্রামে নিজের একাধিক ছবি ভাগ করে নিয়ে ঋতাভরী নিজের ভোলবদলের ঝলক দিয়েছেন। অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘আমি যেহেতু স্মল, এক্সট্রা স্মল, মিডিয়াম, লার্জ, ডাবল এক্সএল সব ধরনের আকারেই ছিলাম তাই জানি শেষ পর্যন্ত আপনি ভিতর থেকে কেমন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি দেখতে কেমন, আপনি মোটা না কি রোগা— সবটাই বইয়ের মোড়কের মতো। ভিতর থেকে আমি সব সময় ক্ষমাহীন ও দয়ালু। বরাবরই একই রকম ছিল ঋতাভরী। কেউ আমাকে কোন চোখে দেখেন, তা কখনওই আমাকে সংজ্ঞায়িত করতে পারেনি। আমার শরীর দিয়ে তো নয়ই।’’
অনেকেই তাঁর এই পোস্টে তাঁকে বাহবা দিয়েছেন। অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার লেখেন, ‘‘তুমি অনেকের অনুপ্রেরণা।’’ অভিনেত্রীর এক অনুরাগী লেখেন, ‘‘আপনি এক জন যোদ্ধা। আমাদের অনুপ্রেরণা।’’