—প্রতীকী চিত্র।
শুধু এক জন ক্যানসার রোগী নন, তাঁর পরিজনদের মানসিক অবস্থার দিকেও নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ বার তাই পরিজনদের জন্য নির্দিষ্ট ক্লিনিকের ব্যবস্থা করল মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল। সপ্তাহে দু’দিন সেখানে রোগীর পরিজনদের কথা শুনবেন চিকিৎসকেরা। যে কোনও হাসপাতালের ক্যানসার রোগীদের পরিজনেরা ওই ক্লিনিকে বিনামূল্যে পরিষেবা পাবেন। মঙ্গলবার মেডিকা ক্যানসার ইনস্টিটিউট চালু করল সেই ‘মনোবীণা’ ক্লিনিকের।
হাসপাতালের সিনিয়র ক্যানসার চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্যানসার আক্রান্তের মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য শহরের অনেক বেসরকারি হাসপাতালেই সাইকো-অঙ্কোলজি বিভাগ রয়েছে। কিন্তু বাড়িতে রোগীর প্রাথমিক পরিচর্যা যাঁরা করছেন, তাঁদের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, রোগের কথা সামনে এলে পরিজনেরা অসহায় হয়ে যান।’’ তিনি জানাচ্ছেন, রোগীকে কেন্দ্র করে তাঁর পরিজনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রশ্ন মনে আসে— যেমন, চিকিৎসার খরচ কত, রোগী কত দিন বাঁচবেন? রোগীকে কষ্ট-যন্ত্রণা সামনে থেকে পেতে দেখে তাঁদের মধ্যেও মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। সে সব কাটাতে এগিয়ে আসতে হবে ক্যানসার চিকিৎসককেই।
এ দিন এই বিষয়ের উপরেই আলোচনা সভারও আয়োজন হয়েছিল। ওই ক্যানসার
ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা, চিকিৎসক সৌরভ দত্ত বলেন, ‘‘একটু অন্য রকমের চিন্তাভাবনা থেকেই পুরোপুরি রোগীর স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে বদ্ধপরিকর আমরা। বাড়িতে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ব্যবস্থা চালু করা, ক্যানসার স্ক্রিনিং শিবির করা, ক্যানসার আক্রান্তের সুস্থ হওয়ার পরে তাঁর চাকরির বন্দোবস্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সবেরই অঙ্গ হিসেবে মনোবীণাও চালু করা হল।’’