আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ এবং ফিটনেস সচেতন নুসরত জাহান, ডক্টর নন্দিত শাহ্ , করণ কক্কর, রণদীপ মৈত্র এবং যশ দশগুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র।
কাজ থাকবে, ব্যস্ততা বাড়বে, আরও দ্রুত গতিতে ছুটতে হবে। তবে এত কিছুর মাঝেও শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা ভুলে গেলে চলবে না। সে কথাই ফের মনে করাল ‘ইনফোকম ২০২৩’-এর দ্বিতীয় সন্ধ্যার কথোপকথন। ফিটনেস সংক্রান্ত এই আলোচনার সূত্রধার ছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ এবং ফিটনেস সচেতন নুসরত জাহান। আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ডক্টর নন্দিতা শাহ্ (প্রতিষ্ঠাতা, শারন ইন্ডিয়া), করণ কক্কর(পুষ্টিবিদ), রণদীপ মৈত্র (প্রাক্তন ক্রিকেটার) এবং যশ দশগুপ্ত (অভিনেতা)।
নায়িকা হওয়ার ঝক্কি কম নয়। ইচ্ছেমতো অনেক কিছুই করা যায় না। খাওয়াদাওয়াটা সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে। কড়া ডায়েট হল নায়িকা হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ। নুসরত নিঃসন্দেহে ডায়েট মেনে চলেন। তাঁর ছিপছিপে, তন্বী চেহারা দেখলেই তা বোঝা যায়। আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নায়িকা। তাই তিনি প্রশ্ন রাখলেন বাকিদের কাছে। সুস্থ থাকতে নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়ার ভূমিকা কী?
ডক্টর নন্দিতা শাহ্ প্রথমেই ভিগান ডায়েটের কথা বলেন। এখন অনেকেই ভিগান জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রাণীজাত এবং দুগ্ধজাত কোনও খাবারই এই ডায়েট করলে খাওয়া যাবেন না। তবে উদ্ভিদজাত খাবার খাওয়া যেতে পারে। নন্দিতার কথায়, “ডায়েটের ধরন যেমনই হোক তা নিয়ম মেনে এবং সুষ্ঠু ভাবে করতে পারলে উপকার মিলবে। অনেকেরই ধারণা, নিরামিষ খাবার মানেই পুষ্টি কম। অথচ স্বাস্থ্যগুণে পনির মাংসকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।”
রণদীপ আবার সুস্থ থাকতে শাকসব্জি খাওয়ার কথা বললেন। আমিষ খান কিংবা নিরামিষ, রোজ শাকসব্জি খেতে হবেই। রণদীপ বলেন, “মাছ, মাংস, ডিম খেলেও শাকসব্জি কম খান অনেকেই। কিন্তু ফিট থাকার প্রথম ধাপ হল সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খাওয়া।”
করণ সুস্থ থাকতে তিনটি ‘সুপারফুড’-এর কথা বলেন। ফল, জল এবং সব্জি। ফিট থাকতে মরসুমি ফল আর সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সে বিষয়টি বার বার তাঁর কথায় ঘুরে-ফিরে আসে। সেই সঙ্গে কয়েকটি খাবার থেকে দূরে থাকার কথাও বলেন তিনি। করণ বলেন, “নরম পানীয়, নুন এবং মিষ্টি এই তিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সুস্থ থাকা আরও সহজ হবে।”
খাওয়াদাওয়া নিয়ে যশের চিন্তাভাবনা আবার খানিক আলাদা। যশ কথা শুরু করার আগেই অবশ্য তা বলে দিলেন নুসরত। যশ বিশ্বাস করেন, মন থেকে কোনও খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হলে নিজেকে আটকে রাখা ঠিক নয়। বরং মিষ্টি, পেস্ট্রি, ভাজাভুজি খেয়েও কী ভাবে ফিট থাকা যায়, সেই কৌশল শিখে নিতে হবে। সেটা কেমন? যশ বলেন, “পরিকল্পনা করে খেতে পারলে সব খাওয়া যায়। তবে কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়। রোজ রোজ বাইরের খাবার খেয়ে রোগা থাকার আশা না রাখাই শ্রেয়। খাওয়াদাওয়ায় একটু ব্যালান্স রাখলে আর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”