চিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর এখানেই চাকরি করেন ট্যান। ছবি- সংগৃহীত
২২ বছর বয়সী ট্যান, চিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর, অন্য সব ক্ষেত্রের চাকরির সুযোগ ছেড়ে সেখানকারই এক কবরস্থানে চাকরি নিয়েছেন। কারণ, হিসেবে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “কর্মক্ষেত্রের জঘন্য রাজনীতি আমার ভাল লাগে না। তাই জীবনে শান্তির খোঁজে এই চাকরি বেছে নিয়েছি।”
এর পর নেটমাধ্যমে ট্যান তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশে কর্মস্থলের একটি ভিডিয়ো করে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, “আমি এই করবস্থানের রক্ষক হিসেবে কাজ করি। দেখুন এখানকার পরিবেশ, কত শান্ত। চারিদিকে সবুজ, এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেড়াল, কুকুররা।”
এই রকম একটি পরিবেশে সপ্তাহে ৬দিন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকতে হয় তাঁকে। মাঝে ২ ঘণ্টার জন্য বিরতিও দেওয়া হয়।
ছবি- সংগৃহীত
নেটমাধ্যমে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন। কেউ লিখছেন, আগেকার দিনে এই ধরনের কাজ সমাজে অস্পৃশ্য ছিল। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে তা শান্তির ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার আরেকজন লিখেছেন, এই ধরনের কাজ সব থেকে ভাল। নিজের মতো থাকা জরুরি। কাজ করার মানে নিজের জীবনের শান্তি নষ্ট করা নয়।