আশিতে আসিলেও ক্ষতি নেই ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে একা প্রশান্ত মহাসাগর পার করার নজির গড়লেন জাপানের এক অভিযাত্রী। নাম, কেনিচি হোরি। তবে রেকর্ড গড়েও ক্ষান্ত হতে চান না তিনি। সংবাদমাধ্যমকে কেনিচি জানিয়েছেন, তিনি এখনও মধ্যযৌবনে রয়েছেন, তাই ভবিষ্যতে আরও অভিযানে যেতে চান তিনি।
কেনিচি হোরি ছবি: সংগৃহীত
মার্চ মাসে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহর থেকে মাত্র ১৯ ফুট লম্বা সান্তরি মারমেড ৩ নামক ইয়টে চেপে জাপানের উদ্দেশে রওনা দেন কেনিচি। প্রশান্ত মহাসাগর পার করে দেশে পৌঁছতে তাঁর সময় লাগল ৬৯ দিন। তবে সহজ ছিল না যাত্রাপথ। যাত্রার শুরুতে প্রবল ঝড় থেকে জাপান উপকূলের কাছে বিপ্রতীপ স্রোত, সবই দক্ষ হাতে সামলেছেন এই প্রবীণ অভিযাত্রী। সঙ্গে ওষুধপত্র থাকলেও গোটা যাত্রায় শুধু চোখের ড্রপ আর ব্যান্ডেড ছাড়া আর কোনও ওষুধের দরকার তাঁর পড়েনি বলেও জানান কেনিচি। জাপানের শিন নিশিনোমিয়া বন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অসংখ্য মানুষ। কেনিচি বন্দরে পৌঁছতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা।
তবে এই প্রথম নন ১৯৬২ সালে তিনিই পৃথিবীর প্রথম অভিযাত্রী হিসাবে একা প্রশান্ত মহাসাগর পার করার রেকর্ড গড়েন। ৬০ বছর পর পৃথিবীর প্রবীণতম মানুষ হিসাবে একই কাজ করে কার্যত জীবনের একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন কেনিচি। ১৯৭৪ সালে একটি ইয়াটে করে বিশ্বপরিক্রমাও করেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।