Fitness Tips

কে দিদা, কে নাতনি বোঝা দায়! ৬৫ বছরেও মেয়ের পোশাক পরে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যান

লেসলি ম্যাক্সওয়েলের বয়স ৬৫। অথচ চেহারায় তার লেশমাত্র ছাপ নেই। নাতনির সঙ্গে বেরোলে সমবয়সি ভেবে করেন অনেকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৫৩
Share:

৬০ পেরিয়েও ফিট দিদা। ছবি: সংগৃহীত।

দুই বোনের বয়স কাছাকাছি হলে অনেকেই একে-অপরের পোশাক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরেন। তবে মেলবোর্নের বাসিন্দা বছর ৬৫-এর লেসলি ম্যাক্সওয়েল মেয়ে এবং নাতনির পোশাকও পরেন। লেসলির বয়স যা-ই হোক, তাঁকে দেখলে তরুণী ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না। মেয়ে এবং নাতনির সঙ্গে রাস্তায় বেরোলে তিনি যে দিদা, তা বোঝা কঠিন।

Advertisement

৬০ পেরিয়েও লেসলির দেহসৌষ্ঠব দেখলে যে কেউ অবাক হবেন। লেসলি পেশায় ফিটনেস প্রশিক্ষক। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। ফেসবুকেও সমান জনপ্রিয় তিনি। লেসলির সমাজমাধ্যম ঘাঁটলে দেখা যাবে লেসলির বিকিনি পরিহিত ছবি। সমুদ্রের ধারে বিকিনি পরে উষ্ণতা মাখছেন তিনি। এই বয়সে লেসলির এমন সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ সকলেই। তবে অনেকের মতে, তিনি ফিটনেস প্রশিক্ষক বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।

নিয়ম মেনে চললেও একটা বয়সের পর বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে শরীরে। বয়স যে হয়েছে, বাহ্যিক ভাবে তা প্রকাশ পায়। প্রায় সত্তরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এমন পেশিবহুল শরীর ধরে রাখা সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। তবে লেসলি অসাধ্যসাধন করেছেন। এবং এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়, সে কথা জানিয়েছেন লেসলি নিজেই।

Advertisement

২২ বছরে তিয়া লেসলির একমাত্র নাতনি। তবে দু’জনের সম্পর্কটা ঠিক দিদা-নাতনির নয়, বন্ধুত্বের। দু’জনেই একে অপরের পোশাক পরেন। লেসলি মাঝেমাঝেই নাতনির পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে ডে়টেও যান। শুধু নাতনি নয়, মেয়ের পোশাক গলিয়েও মাঝেমাঝেই বেরিয়ে পড়েন তিনি। লেসলির চেহারা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। লেসলি জানিয়েছেন, এই বয়সে এমন পেশিবহুল শরীর ধরে রাখা সহজসাধ্য নয়।

লেসলির মতে, নিজেকে ফিট ও সুস্থ রাখার মূলমন্ত্র নিজেকেই খুঁজে বার করতে হবে। বয়স তো নিছক একটি সংখ্যা মাত্র। বয়স যেন জীবন উপভোগের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। নিজেকেও তাই বয়সের গণ্ডিতে আটকে রাখেননি তিনি। বিয়ে করেছিলেন ১৩ বছরের ছোট এক জনকে। এখন অবশ্য সেই ব্যক্তি প্রাক্তন। তবু লেসলি নিজেকে রঙিন রেখেছেন। মাঝেমাঝে সময় পেলে তিনি বয়সে ছোট পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে কফি ডেটে চলে যান। লেসলির মতে, একটাই জীবন। যতটা সম্ভব উপভোগ করা নেওয়া উচিত। যাতে পরে যেন কোনও আক্ষেপ না থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement