রকমারি তাক দিয়ে সাজিয়ে ফেলা যায় হেঁশেল থেকে স্নানঘর। ছবি:ফ্রিপিক।
ভাড়াবাড়িতে বাস। তাই আসবাব বাড়াতে চান না। কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস রাখবেন কী ভাবে? আলমারি কিনলে, আবার অন্যত্র যেতে হলে লটবহর বয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করতে পারে রকমারি তাক বা শেল্ফ। সহজে লাগানো এবং খুলে নেওয়া যায়, যায় এমন তাকে গুছিয়ে রাখা যায় প্রয়োজনের জিনিস। সাজিয়ে ফেলা যায় অন্দরমহল।
কাঠ, ধাতু, কাচ, প্লাস্টিক— বিভিন্ন উপাদানের তাক আছে। নানা ভাবে কাজে লাগানো যায় সেসব। ‘ফ্লোটিং’, ‘হ্যাঙ্গিং’, ‘কর্নার’, ‘ওয়াল’, ‘গ্লাস’— নানা প্রকারভেদ তাদের।
১। রান্নাঘর হোক বা বসার ঘর রকমারি জিনিস সাজিয়ে রাখা যায় ‘ফ্লোটিং’ বা ভাসমান তাকে। ছোট-বড়, সরু, চওড়া ইচ্ছামতো বানিয়ে নিতে পারেন। দেওয়ালের ধাতব প্যানেলের সাহায্যে এটি আটকানো থাকে। শৌখিন বাসন যেমন এতে সাজিয়ে রাখা যায়, তেমনই নিত্যপ্রয়োজনীয় তৈজসও গুছিয়ে রাখা যায়।
২। সচরাচর যে সব জিনিস ব্যবহার হয় না, সেগুলি রাখার জন্যও জায়গা লাগে। এ জন্য ব্যবহার করতে পারেন ছাদের সঙ্গে আটকে দেওয়া যায়, এমন তাক। অপ্রয়োজনীয় নয়, প্রয়োজনের জিনিসও এ ভাবে রাখা যায়। ঘর ছোট হলে, এই ধরনের তাক বেশ কাজে লাগে।
ছাদের সঙ্গে আটকে দেওয়া তাক। ছবি:সংগৃহীত।
৩। মোবাইল চার্জ দেওয়া হোক টুকিটাকি জিনিস রাখা, কাজে আসতে পারে কাচের তাক। স্ক্রু দিয়ে দেওয়ালের সঙ্গে সহজেই এগুলি লাগিয়ে নেওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায়, সুইচ বোর্ডের পাশে চার্জ দেওয়ার জন্য মোবাইল রাখার জায়গা নেই। তখন এই ধরনের তাক কাজে আসে। আবার ঘর সাজাতেও কাচের তাকে শৌখিন জিনিস রাখা যায়।
৪। রান্নাঘর হোক বা স্নানঘর— টাইলসে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নেওয়া যায় রকমারি প্লাস্টিকের তাক। ওজনে হালকা, যে কেউ বাড়িতে সহজেই এগুলি নিজেই লাগিয়ে ফেলতে পারেন। প্রয়োজনে খুব সহজে খুলে নেওয়া যায়। রান্নাঘরের মশলার কৌটো হোক বা স্নানঘরের শ্যাম্পু, সাবান এখানে সাজিয়ে রাখলে দেখতেও ভাল লাগে।
৫। বই রাখার জন্য বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশার তাকের ব্যবহার করা যায়। কিছু তাক সরাসরি দেওয়ালের সঙ্গে আটকানো যায়। কিছু তাক মেঝের উপর বসিয়ে রাখা যায়। শুধু বই নয়, ছোটখাটো ঘর সাজানোর জিনিস, যেমন মোমবাতি, ফুলদানি, পেপার ওয়েট, শৌখিন দ্রব্য এতে সাজিয়ে রাখা যায়।