পুণের বাসিন্দা বছর ৪৩-এর ভাস্কর ওয়াঘমারে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করলেন। প্রতীকি ছবি।
পড়াশোনার কোনও বয়স হয় না। কেরলের কাত্যায়নী আম্মা ২০১৮ সালে, ৯৬ বছর বয়সে শারীরিক প্রতিকূলতাকে জয় করে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। পরীক্ষা দেন। পাশও করেছিলেন। বয়স যে বাধা নয়, তা আবারও প্রমাণিত হল। পুণের বাসিন্দা বছর ৪৩-এর ভাস্কর ওয়াঘমারে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করলেন। ছোট ছেলের সঙ্গে তিনিও এ বছর পরীক্ষায় বসেছিলেন। তবে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি তাঁর ছোট ছেলে।
পড়াশোনা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সংসারে দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে গিয়ে সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি ওই ব্যক্তির। পড়াশোনা ছেড়ে কাজে ঢুকতে হয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনার একটা সুপ্ত বাসনা মনের অন্দরে তাঁর ছিলই। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। দীর্ঘ ৩০ বছর পর সেই সুযোগ এল। বাবা নয়, সহপাঠী হিসাবেই ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড পরীক্ষায় বসেন ভাস্কর।
ভাস্করের কথায়, ‘‘ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক দায়িত্বের কারণে পড়াশোনার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে নতুন করে শুরু করার ইচ্ছা থেকেই পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। এখন আমার ছেলের জন্য চিন্তা হচ্ছে। ও পাশ করলে বেশি আনন্দ পেতাম। ও আমাকে পড়াশোনা করতে খুবই সাহায্য করেছিল।’’
ছেলে সাহিলের গলায় কিন্তু অন্য সুর। সে জানিয়েছে, নিজে পাশ করতে না পারলেও বাবার পাশের খবরে অত্যন্ত খুশি। পরবর্তী কালে তার বাবা যদি আরও পড়তে চান, তা হলে সে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছে। এবং নিজেও হাল ছাড়বে না। পরের বার পরীক্ষা দিয়ে যাতে পাশ করে যেতে পারে, সেই চেষ্টাও চালিয়ে যাবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।