ঘরের ভোলবদলের সহজ উপায়। ছবি:ফ্রিপিক।
দিনে দিনে বদলাচ্ছে ঘরের অন্দরসজ্জার কৌশল, ধ্যান-ধারণা। শৌখিন জিনিস যে কোনও ভাবে সাজিয়ে দিলেই কিন্তু তা দৃষ্টিনন্দন হয় না। বরং ঘরের রং, স্বল্প আসবাবও বদলে দিতে পারে ঘরের রূপ। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সঠিক জিনিস বাছাই এবং তা উপযুক্ত জায়গায় রাখা।
ধাতব জিনিস: ধাতব ঘর সাজানোর শৌখিন জিনিস, দেওয়ালের সজ্জা, আলো—এ সবের সঠিক ব্যবহার আমূল বদলে দিতে পারে ঘরের সৌন্দর্য। চেয়ার, টেবিল থেকে দেওয়াল— সর্বত্রই ধাতব ছোঁয়ার সঠিক ব্যবহার ঘরের ভোলবদলে সাহায্য করবে। বড় দেওয়ালে যেমন ধাতব সজ্জা ব্যবহার করা যায়, তেমনই আলোতেও যায়। ধাতব কারুকাজ করা আয়না, ঘড়িও অন্দরসজ্জায় ব্যবহার করতে পারেন।
ধাতব জিনিসের ছোঁয়ায় বদলে দেওয়া যায় ঘরের রূপ। ছবি: ফ্রিপিক
স্বল্প আসবাব: যত আসবাব রয়েছে সবে ঠেসে ঢুকিয়ে দেওয়া নয়, বরং খুব স্বল্প আসবাবেও ঘর সাজানো যায়। এতে যেমন বাড়তি জায়গা মেলে তেমনই দেখতেও ভাল লাগে। যেখানে সেখানে এটা-ওটা ফেলে রাখলেও ঘরের শ্রী নষ্ট হয়। এমন ভাবে ঘরের সঙ্গে মানাসই আলমারি তৈরি করান, যার মধ্যে টুকটাকি জিনিস ভরে রাখা যায়। অতিরিক্ত রংচঙে সোফা বা ওয়াড্রোব নয়, বরং বেছে নিতে পারেন ধূসর, ঘিয়ের উপর কোনও শেড।
টুকিটাকি জিনিস: উপযুক্ত কুশন, হাতেবোনা গায়ে দেওয়ার চাদর, ঘর সাজানোর নকশি কাঁথা, রাগ, গালিচা— এমন টুকিটাকি জিনিসেও কিন্তু বাড়ি সুন্দর করে সাজানো যায়। শীতে গালিচা বা রাগ ( গালিচার মতোই, তবে আকারে ছোট) পাতলেও, গরমের দিনে অনেকেই সে সব সরিয়ে ফেলেন। তবে এগুলি বছরভরই ব্যবহার করা যায়। বিশেষত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রতিটির আলাদা ভূমিকা থাকে। টেবিল ল্যাম্প, মোমবাতি— মৃদু আলোর ব্যবহারেও ঘরের ভোল বদলে যায়।
শৈল্পিক ছোঁয়া: ঘরে যদি যথাযথ ভাবে শৈল্পিক ছোঁয়া রাখা যায়, তা হলেও অন্দরসজ্জায় অন্যমাত্রা যোগ হতে পারে। বিমূর্ত ছবি বা ভাস্কর্য, ঘর দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে পারে। আবার সাধারণ ছবিও সুন্দর ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখলে তা সকলের নজরে পড়তে পারে।