গ্রীষ্মে বাগান সাজাতে কোন কোন ফুল বেছে নেবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
শীতের বাগান যেমন রঙিন ফুলে ভরে থাকে, গরমকালেও তেমনই সুন্দর বাগান চান। তা হলে বেছে নিন এমন ফুলের গাছ, যা গরমে অল্প যত্নেই বেড়ে ওঠে।
পর্তুলিকা বা পর্তুলাকা: লাল, গোলাপি, বেগনি, হলুদ— নানা রঙের ফুল হয়। গাছ ফুলে ভরে থাকলে দেখতে লাগে ভীষণ সুন্দর। এই গাছের পরিচর্যা মোটেই ঝক্কির নয়। বীজ থেকেও চারা গাছ পেতে পারেন আবার সরাসারি নার্সারি থেকে ভাল মানের চারা কিনতে পারেন। এই গাছের জন্য অন্তত ৬ ঘণ্টা সূর্যালোক প্রয়োজন। গোবর বা পাতাপচা সার শুরুতেই মাটির সঙ্গে দিয়ে রাখলে, গাছ তরতরিয়ে বা়ড়বে। গাছের বেড়ে ওঠার জল দরকার হলেও, টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক না হলে, গাছের ক্ষতি। তাই টবের উপরের মাটি শুকিয়ে এলে তবেই জল দিন। মোটামুটি ১০-১২ ইঞ্চির টবে গাছ লাগাতে পারেন।
গরমের সময়ে মাঝেমধ্যেই কালবৈশাখী হয়। ঝড়-বৃষ্টিতে গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই টবে গাছ বসালে, বৃষ্টির সময় সেটি ছাউনির নীচে রাখুন। জল জমলে গাছের ক্ষতি হবে।
গাছে কুঁড়ি এলে গোবর সার দিতে পারেন। কলার খোসা গুঁড়ো করে সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এতে ফুলের সংখ্যা বাড়বে।
ল্যান্টানা: খুব অল্প যত্নেই বেড়ে ওঠে ল্যান্টানা। নানা রকমের রঙের ফুল হয় এতে। এই গাছের বেড়ে ওঠার জন্য অন্তত ৪ ঘণ্টা সূর্যালোক প্রয়োজন। বর্ষাতেও এই গাছে অনেক ফুল হয়। মাটি তৈরির সময় জৈব সার প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়া ফুল ধরলে মাসে দু’বার খোল পচা সার দেওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখা দরকার মাটিতে যেন জল না বসে।
করবী: এই ফুলের সৌন্দর্যও বাগান আলো করে রাখে। করবী গাছের জন্য প্রথমেই মাটি প্রস্তুত করে নিন। ৫০ শতাংশ দোআঁশ বা এঁটেল মাটির সঙ্গে ৩০ শতাংশ গোবর সার, ১০ শতাংশ বালি, ১০ শতাংশ কোকোপিট মিশিয়ে নিতে হবে। এই গাছের জন্য সরাসরি সূর্যালোক দরকার। জল দিতে হবে বুঝেশুনে। টবে জল জমলে গোড়া পচে যেতে পারে। এই গাছ আকারে বেশ বড় হয়। তাই শুরু থেকেই একটু বড় টব বা পাত্র ব্যবহার ক