জীবনের গজে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন জন। ছবি: সংগৃহীত।
বাইশ গজে সেঞ্চুরি করেছেন অনেক ক্রিকেটারই। কিন্তু জীবনের গজে সেঞ্চুরি করা সহজ নয়। তবে অসম্ভব যে নয়, সংখ্যায় কম হলেও সে উদাহরণ আছে। সকলে না হলেও, কেউ কেউ বয়স ১০০-এর কোঠা পার করেও দিব্যি জীবন উপভোগ করেন। ইংল্যান্ডের জন আলফ্রেড টিনিসউড তেমনই এক জন। বয়স ১১১। বয়সের ভারে কিঞ্চিৎ ন্যুব্জ হয়েছেন। চেহারায় জৌলুস কমেছে। চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। কিন্তু শারীরিক ভাবে তিনি অত্যন্ত ফিট। বার্ধক্যজনিত সামান্য কিছু শারীরিক সমস্যা ছাড়া বড় কোনও অসুখ নেই। হাঁটাচলায় এখনও গতি রয়েছে। ১০০ তো দূর, ইদানীং ৫০-এর পর থেকেই নানা অসুস্থতা জাঁকিয়ে বসে শরীরে। সেখানে ১১১ বছর বয়সে কী ভাবে সুস্থ-সবল আছেন তিনি? সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিয়োতে নিজেই জানিয়েছেন অশীতিপর বৃদ্ধ।
দীর্ঘায়ু পেতে জনের প্রথম পরামর্শ হল, খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— সব কিছুই পরিমিত পরিমাণে করতে হবে। বেশি খাবার খেলে, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খেলে কিংবা অত্যধিক শরীরচর্চা করলে সাময়িক সুস্থ থাকা যায়। কিন্তু পরবর্তী কালে শরীরের উপর এই ধরনের প্রাত্যহিক অভ্যাসের প্রভাব পড়ে। জন শরীরের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কখনও বাড়াবাড়ি কিছু করতেন না। এখনও তেমন কিছু করেন না।
জনের বিশ্বাস, দীর্ঘায়ু পেতে মন থেকে ভাল থাকা জরুরি। ৪৪ বছর একসঙ্গে ঘর করার পর স্ত্রী মারা যান। হঠাৎই একা হয়ে পড়েছিলেন জন। কিন্তু মন থেকে কখনও ভেঙে পড়েননি। মেয়ে, নাতি এবং নাতির ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভরা সংসার জনের। সারা ক্ষণ হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করেন তিনি। খারাপ লাগাকে প্রশ্রয় দেন না একেবারেই। কখনও সময়ে খাবার খান। আবার ইচ্ছে হলে অনিয়ম করেন। নিজের খেয়ালে চলেন। সিনেমা দেখেন। রোজ বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটতে যান। জনের একটাই ইচ্ছে, যত দিন বাঁচবেন সুস্থ থাকতে চান।