মায়ের দুধেও মিলেছে বিষ? ছবি - প্রতীকী
উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে গত ১০ মাসে রহস্যজনক ভাবে ১১১ জন শিশুর মত্যু নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। কিন্তু তারই মাঝে লখনউ-এর ‘কুইন মেরি’ হাসপাতালের গবেষকরা প্রকাশ করলেন এ বিষয়ে তাঁদের ধারণা। তাঁদের দাবি, মাতৃদুগ্ধে কীটনাশকের উপস্থিতিতেই এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে।
শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের জট খুলতে তাঁরা ওই অঞ্চলের ১৩০ জন অন্তঃসত্ত্বার প্রতি দিনের খাওয়ার ধরনের উপর সমীক্ষা চালান। তাঁদের ধারণা, ওই মহিলাদের খাবারের মধ্যেই মিশে ছিল বিষ। রক্তের মাধ্যমে তা গর্ভস্থ ভ্রূণেও প্রবেশ করে।
মাতৃদুগ্ধে কী ভাবে মিশছে এই বিষ?
১৩০ জন অন্তঃসত্ত্বার মধ্যে যে ক’জন নিরামিষ খান, তাঁদের পুষ্টির অভাব পূরণ করার জন্য প্রতি দিনই দুধ খেতে দেওয়া হয়েছিল। সেই দুধের নমুনা সংগ্রহ করেই গবেষকরা জানান, সেখানে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এর কারণও খুব স্পষ্ট। ব্যবসায়িক স্বার্থে দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য গবাদি পশুর শরীরে বিশেষ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, খাবারে মেশানো হয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। যেহেতু নিরামিষাশীরা দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খেয়ে থাকেন, তাই সেই সব মহিলার শরীরে এই বিষের পরিমাণ আমিষাশীদের তুলনায় তিন গুণ বেশি পাওয়া গিয়েছে।
সদ্যোজাতের শরীরে কী ভাবে মিশছে কীটনাশক?
জন্মের পর থেকে মাস ছয়েক পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধই খাওয়াতে বলেন চিকিৎসকরা। মায়ের দুধের মাধ্যমেই শিশুর শরীরে প্রবেশ করছে এই রাসায়নিক।
ঘটনার তদন্তে সেখানকার জেলাশাসক তিন সদস্যের একটি দল গঠন করারও নির্দেশ দিয়েছেন। শিশুমৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার কারণও খতিয়ে দেখবে সেই দলটি।