১০৭ বছরেও ফিট থাকার রহস্য কী? ছবি: সংগৃহীত।
বাইশ গজে সেঞ্চুরি করেছেন অনেক ক্রিকেটারই। কিন্তু জীবনের গজে সেঞ্চুরি করা কিন্তু সহজ নয়। সকলে না হলেও, কেউ কেউ অবশ্য পারেন। তার অন্যতম উদাহরণ রেনে গ্লোভার। সম্প্রতি রেনে ১০৭ বছরের জন্মদিন পালন করলেন তিনি। বেলুন, কেক, বাহারি খাবার দিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁর জন্মতিথি উদ্যাপন করলেন।
রেনের জন্মসাল ১৯১৪। দুটো বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী তিনি। এ বছর তিনি ১০৬ পেরিয়ে পা দিলেন ১০৭-এ। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও রেনে এই বয়সেও ফিটনেসে পাল্লা দেবেন অনেককেই। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, কোভিডের সময় বাড়ির বাকি সদস্যদের করোনা ধরা পড়লেও তিনি কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। চিকিৎসকেরাও তাঁর ফিটনেস দেখে বিস্মিত হয়ে যান।
খাওয়াদাওয়া থেকে নিজের যাবতীয় কাজ অন্য কারও সাহায্য ছাড়াই তিনি করেন। ১০০ পেরিয়েও রেনের এই জীবনশক্তি অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগায়। ৬০-এর পর থেকে শরীরের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। বয়স যত বাড়তে থাকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি কমজোরি হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই ফিটনেস কমতে থাকে। শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই। তবে ১০৭ বছর বয়সি রেনে কিন্তু একেবারে নিরোগ। এর রহস্যটা কী, তা অনেকেই জানতে চান।
খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলা থেকে হালকা কিছু শরীরচর্চা— সুস্থ থাকতে এ ছাড়া আলাদা কিছু করেন না রেনে। তবে তাঁর ৫২ বছর বয়সি নাতনি সারা অবশ্য ঠাকুরমার এই ফিটনেসের একটি রহস্য খোলসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুরমা সারা দিনে প্রায় ১০০ কাপ চা খান। কোনও কোনও দিন সেটা ১০০-ও ছাড়িয়ে যায়। চায়ের প্রতি টান রেনের সেই যৌবনকাল থেকেই। সব অভ্যাস ছাড়তে পারলেও চা খাওয়ার অভ্যাস তিনি ত্যাগ করতে পারেননি। তিনি মনে করেন, এই চায়ের প্রতি অগাধ প্রেম এত দিন পর্যন্ত ফিট থাকতে সাহায্য করেছে।