এগ্রিকালচার নিয়ে

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

প্রশ্ন: এগ্রিকালচার নিয়ে পড়তে চাই। রাজ্য তথা রাজ্যের বাইরে বিষয়টি কোথায় পড়ায়? উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ কেমন? বিষয়টি পড়ে পরে কাজের সুযোগ কেমন?

Advertisement

পম্পা দাস, বারুইপুর

Advertisement

স্নাতক স্তরে রাজ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি পড়ানো হয়। যেমন,

• উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

www.ubkv.ac.in

• বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

www.bckv.edu.in

• বিশ্বভারতী

www.visvabharati.ac.in/Palli_shiksha_BSCAG.html

রাজ্যের বাইরে

প্রতিটি রাজ্যেরই এক বা একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (স্টেট এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি) রয়েছে। সেখানে বা তার অন্তর্গত কলেজে এগ্রিকালচার নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়া যায়। তাদের কয়েকটির নাম এখানে দেওয়া হল। যেমন,

• অসম এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, জোরহাট

www.aau.ac.in

• ওড়িশা ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি

www.ouat.nic.in/collegeofagriculture

• বিহার এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি

www.bausabour.ac.in

• বিরসা এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, রাঁচি

www.bauranchi.org

• চন্দ্রশেখর আজাদ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি

http://csauk.ac.in

• সর্দার বল্লভ ভাই পটেল ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার, মেরঠ

www.svbpmeerut.ac.in

• আচার্য নরেন্দ্রদেব ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি

www.nduat.org

• জি বি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি

www.gbpuat.ac.in

• ইন্দিরা গাঁধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রায়পুর

http://igau.edu.in

• আচার্য এনজি রঙ্গ এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি

www.angrau.ac.in

• তামিলনাড়ু এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি

www.tnau.ac.in

• পঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি

www.pau.edu

• কেরালা এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি

www.kau.in

• আনন্দ এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি

www.aau.in

• জওহরলাল নেহরু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জবলপুর

http://jnkvv.org ইত্যাদি।

এ ছাড়া, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (www.bhu.ac.in), রানি লক্ষ্মীবাই সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ঝাঁসিতেও (www.rlbcau.ac.in) এগ্রিকালচার নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

স্নাতকোত্তর রাজ্যে

উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতী ছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (www.caluniv.ac.in/) বিএসসি-র পরে এই বিষয়ে এম এসসি ও পিএইচ ডি করা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি অ্যান্ড সয়েল সায়েন্স, অ্যাগ্রোনমি, জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং, প্ল্যান্ট ফিজিয়োলজি, হর্টিকালচার, সিড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষা করা যায়।

এ ছাড়া, বিভিন্ন রাজ্যের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (IARI, www.iari.res.in/) এবং সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিগুলিতে (যেমন, সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, ইম্ফল http://www.cau.ac.in; ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, www.rpcau.ac.in) উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এই সব জায়গায় ভর্তির জন্যেও আইসিএআর (ICAR) পরিচালিত একটি সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয়।

স্পেশালাইজ়েশন

স্নাতকোত্তর স্তরে এগ্রিকালচারে স্পেশালাইজ়েশন করা যায়—

• এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি অ্যান্ড সয়েল সায়েন্স

• অ্যাগ্রোনমি

• জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং

• প্ল্যান্ট ফিজিয়োলজি

• হর্টিকালচার

• সিড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

• এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন

• নেমাটোলজি

• বায়োটেকনোলজি

• মাইক্রোবায়োলজি

• এগ্রিকালচারাল ইকনমিক্স

• প্ল্যান্ট প্যাথোলজি

• সয়েল ফিজিক্স

• এগ্রিকালচারাল এন্টোমোলজি ইত্যাদি বিষয়ে।

গবেষণা

সমস্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্ট্রাল এগ্রিকালাচারাল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা হয়। এ ছাড়া, আইসিএআর-এ অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণারও সুযোগ রয়েছে। যেমন,

• ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারাল বায়োটেকনোলজি

https://iiab.icar.gov.in/?lang=hi

• সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং

www.ciae.nic.in/Content/index.aspx

• সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ড্রাইল্যান্ড এগ্রিকালচার

www.crida.in

• ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারাল ইকনমিক্স অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ

www.ncap.res.in

বিবেকানন্দ পর্বতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থান

www.vpkas.icar.gov.in

সেন্ট্রাল কোস্টাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট

www.ccari.res.in

সেন্ট্রাল আইল্যান্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট

https://ciari.icar.gov.i• ইত্যাদি।

কাজের সুযোগ

এগ্রিকালচার নিয়ে পড়ে হরেক ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ রয়েছে। যেমন, এই বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পরে বিভিন্ন সরকারি যেমন (কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক) এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কৃষি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে ফিল্ড অফিসার, রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং এগ্রিকালচার অ্যান্ড প্রোবেশনারি অফিসার হিসেবে কাজ পাওয়া যায়। কাজের সুযোগ রয়েছে বীজ সংস্থায়। এখানে সিড অফিসার ছাড়াও গবেষক হিসেবে কিংবা বিভিন্ন টেকনিক্যাল ক্ষেত্রেও কাজের সুযোগ মেলে। এ ছাড়া অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি, এগ্রিকালচারাল ম্যানেজমেন্ট, পরিষেবা ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে এগ্রিকালচারের ছাত্রছাত্রীদের। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বা সরকারি চাকরি, কলেজে শিক্ষকতারও সুযোগ রয়েছে। আবার এগ্রিকালচারাল সায়েন্টিস্টস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংস্থায় কৃষিবিজ্ঞানী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

বিষয় হিসেবে এগ্রিকালচার (কৃষিবিদ্যা) ব্যবহারিক বিজ্ঞান। এখন আমাদের দেশে কৃষি ক্ষেত্র আগের তুলনায় অনেক উন্নত। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাই আজকের দিনে এগ্রিকালচার পড়তে হলে শুধুমাত্র থিয়োরি আর ল্যাবরেটরি প্র্যাকটিক্যালে আটকে থাকলে হবে না। কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলা থেকে শুরু মাঠেঘাটে, জল-কাদায় ফিল্ড প্র্যাকটিকাল করলে তবেই বিষয়টা আরও বেশি করে আত্মস্থ করতে পারা যাবে। তাই যদি এগ্রিকালচার নিয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকে, তা হলে এর জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement