পরম্পরা মেনে আজ মহাষষ্ঠীর ভোরে সঙ্গীতালেখ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন করল রামকৃষ্ণ মিশন রোড পুজো কমিটি। কোনও উদ্বোধন পর্ব বা স্বাগত ভাষণ নয়। শাঁখ বাজিয়ে চণ্ডী পাঠ শুরু করেন মনোজ দেব। ফাঁকে ফাঁকে গান—‘তব চরণ ধোয়াবে শারদ শিশিরে’, ‘একটি বছর পরে আবার প্রাণের উমা আসছে ঘরে’, ‘শিশিরে শিশিরে শারদ আকাশে ভোরের আগমনি।’ পাড়ার মেয়ে-বউদের ১৫ জনের দলটির নেতৃত্ব দেন নীলিমা দেব ও অরুন্ধতি দত্তরায় (মান্না)। তবলায় আলোক ভট্টাচার্য ও স্বর্ণদীপ দেব। কানাইলাল দাস বাজান সিন্থেসাইজার।
১৯৫৬ সাল থেকে মহাষষ্ঠীর ভোরে আগমনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাসিন্দারা। পূজা কমিটির কর্মকর্তা শেখর দেবরায় বলেন, ‘‘নাগাড়ে এত বছর ধরে এমন অনুষ্ঠান চলার ঘটনা বরাক উপত্যকার কোথাও নেই। তাই পাড়ার প্রতিটি মানুষ একে ধরে রাখার জন্য সচেষ্ট।’’ ভিন্ন আমেজের এই অনুষ্ঠান উপভোগে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসেন। আজও সঙ্গীতালেখ্য শোনার জন্য উপস্থিত ছিলেন লোক-গবেষক অমলেন্দু ভট্টাচার্য-সহ অনেকে।
এক অশীতিপর বৃদ্ধার কথায়, ‘‘এই পাড়ায় ভাড়া ছিলাম। অনেকদিন হল বাড়ি করে অন্যত্র চলে গিয়েছি। তবু আগমনি-তে আসার জন্য মনটা ছটফট করতে থাকে।’’