শীর্ষ কমিটির এক ঝাঁক মুখকে লড়তে পাঠাচ্ছে সিপিএম

দলের আশা, এ বার লোকসভায় আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব বাড়বে। সেই লোকসভায় বলিয়ে-কইয়ে এবং ওজনদার মুখ চাই। এই পরিস্থিতিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক ঝাঁক সদস্যকে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভায় প্রার্থী করছে সিপিএম। বাংলার থেকে এই বিষয়ে অবশ্য এগিয়েই রয়েছে কেরল। সে রাজ্যের ২০ আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ আসনের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। দলের রাজ্য কমিটিতে বৃহস্পতিবার প্রথম দফার তালিকা অনুমোদিতও হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৪ ০৯:৫৩
Share:

দলের আশা, এ বার লোকসভায় আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব বাড়বে। সেই লোকসভায় বলিয়ে-কইয়ে এবং ওজনদার মুখ চাই। এই পরিস্থিতিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক ঝাঁক সদস্যকে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভায় প্রার্থী করছে সিপিএম।

Advertisement

বাংলার থেকে এই বিষয়ে অবশ্য এগিয়েই রয়েছে কেরল। সে রাজ্যের ২০ আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ আসনের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। দলের রাজ্য কমিটিতে বৃহস্পতিবার প্রথম দফার তালিকা অনুমোদিতও হয়েছে। সেই তালিকায় এ বারের চমক দলের পলিটব্যুরো সদস্য এম এ বেবি। তাঁকে কোল্লম আসন থেকে প্রার্থী করছে সিপিএম। সাম্প্রতিক কালে দলের পলিটব্যুরো সদস্যেরা কেউ লোকসভা ভোটে দাঁড়াননি। বেবি অবশ্য মাত্র ৩২ বছর বয়সে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। সংসদের সেই অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়েই এ বার তিনি লোকসভায় লড়তে যাচ্ছেন। তাঁর উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন বলেই দলকে জানিয়ে দিয়েছেন বেবি। বিধায়ক বেবি এ দিন জানিয়েছেন, আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে এলডিএফের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন। প্রসঙ্গত, কেরলের সব আসনেই ভোট ২০ এপ্রিল।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম ও সুভাষিণী আলি। দু’জনেই প্রাক্তন সাংসদ। লোকসভায় গত বার সিপিএমের দলনেতা ছিলেন বাসুদেব আচারিয়া। তিনিও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কিন্তু এ বার বাঁকুড়া আসনটি যথেষ্ট কঠিন বুঝেই সম্ভাব্য সব রকম বিকল্প তৈরি রাখছেন প্রকাশ কারাটেরা। বেবি ছাড়াও কেরলের প্রাথমিক তালিকাতেই আরও তিন জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আছেন। কোঝিকোড় থেকে এ বিজয়রাঘবন এবং কান্নুর থেকে পি কে শ্রীমতি প্রার্থী হচ্ছেন। গত বারের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পি করুণাকরনও ফের প্রার্থী হচ্ছেন। তাঁর মতোই গত বারের বিজয়ী আরও তিন সাংসদ এম বি রাজেশ, পি কে বিজু ও এ সম্পথকে ফের প্রার্থী হওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে দল। এঁদের বাইরে আলপ্পুঝার জেলা সম্পাদক সি বি চন্দ্রবাবুকে আলপ্পুঝা আসন থেকে, রাজ্য কমিটির সদস্য টি কে হামজা’কে মলপ্পুরম এবং যুব নেতা এ এন সামশেরকে ভাটাকারা আসন থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে।

Advertisement

বেবি, সেলিম, সুভাষিণীর মতোই বিজয়রাঘবনও আগে সাংসদ ছিলেন। তাঁর ইনিংস ছিল রাজ্যসভায়। সিপিএমে কেন্দ্রীয় কমিটিই সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি। শীর্ষ কমিটির একাধিক সদস্যকে একসঙ্গে প্রার্থী করা হচ্ছে কেন? দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, “পরিস্থিতি বিচার করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেন। পলিটব্যুরো সদস্যদের প্রার্থী করার ক্ষেত্রে একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।” এ রাজ্যের এক নেতার কথায়, “বলিয়ে-কইয়ে লোকই দরকার। তাই ঋ

তব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হয়। লোকসভাতেও একই কথা ভাবা হয়েছে।”

আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না-হওয়ায় বেবি, বিজয়রাঘবনেরা কর্মিসভার বাইরে প্রচার শুরু করেননি। সেলিম এ দিনই রায়গঞ্জ পৌঁছে প্রচারে নেমেছেন। নিজের কেন্দ্র ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্য অংশে প্রচারে থাকতে হবে তাঁকে। ভোট হয়ে গেলে তিনি প্রচারে যাবেন দক্ষিণবঙ্গে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement