লক্ষ্য বাণিজ্য বৃদ্ধি, ব্রাজিল যাচ্ছেন মোদী

প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মাসে সার্ক ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এ বার লাতিন আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিস্তারে আগ্রহ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া, চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৪ ০৩:১২
Share:

প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মাসে সার্ক ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এ বার লাতিন আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিস্তারে আগ্রহ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া, চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন তিনি।

Advertisement

এ মাসের ১৫-১৬ তারিখ ব্রাজিলে ব্রিক্স (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা-র যৌথ মঞ্চ) সম্মেলন। এই সম্মেলনের মঞ্চকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কূটনীতির একটি নয়া অধ্যায় শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে আজ জানানো হয়েছে, ব্রিক্সের এই বহুপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার এগারোটি দেশের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মোদী। এই সফরে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছে। লক্ষ্য, ব্রিক্স ও লাতিন আমেরিকাভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়িয়ে নেওয়া।

সম্মেলনের ফাঁকেই চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন মোদী। সাধারণত, ব্রিক্সের মূল অধিবেশনের পাশাপাশি প্রত্যেকটি দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে একাধিক ছোট ছোট বৈঠক করে। সেই রেওয়াজ মেনেই চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি রাখা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি হচ্ছেন মোদী। আর হচ্ছেন এমন একটা সময়ে, যখন দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে যথেষ্ট অস্বস্তিকর বাতাস বইছে। এমনিতে, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় বেজিংয়ের সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক যথেষ্ট মসৃণ ছিল। তিনি সে দেশে গিয়েছেন, তাঁর রাজ্যের জন্য যথেষ্ট বিনিয়োগও এনেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর সমীকরণটা বদলে গিয়েছে। মোদী এবং বেজিং-র মধ্যে এসে গিয়েছে অরুণাচল, নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশ, স্টেপল ভিসার মতো চিরন্তন দ্বিপাক্ষিক কাঁটা। ভারতে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরেও এই সব প্রসঙ্গে বেজিংয়ের সক্রিয়তা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তাই যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গেই এই শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে নয়াদিল্লি। এ ছাড়া, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। রফতানির প্রশ্নে অনেকটাই পিছিয়ে ভারত। সুকৌশলে অস্বস্তির জায়গাগুলিকে সরিয়ে এই ঘাটতি কমানোটাও মোদী সরকারের লক্ষ্য থাকবে।

Advertisement

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন জানান, আর্জেন্তিনা, চিলি, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলার মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী ভারত। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদী। বাণিজ্য ছাড়া ব্রিকস-বৈঠকে গুরুত্ব পাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার, ব্রিক্স ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের গঠন, ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর রফতানির বাড়তি সুযোগ-সুবিধার মতো বিষয়। এ ছাড়া, ব্রিক্স-এর জন্য একটি পৃথক তহবিল (১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের) গঠনের ব্যাপারে গত বৈঠকেই আলোচনা হয়। স্থির হয়েছিল, আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হলে এই তহবিল থেকে সদস্য দেশগুলো ঋণ নিতে পারবে। দ্রুত এই তহবিল যাতে গড়ে তোলার ব্যাপারেও কথা হবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement