যাঁর মুখকে সামনে রেখে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গড়তে যাচ্ছে সেই নরেন্দ্র মোদী কাল নয়া মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই কাল রাঁচি আসছেন দল সভাপতি অমিত শাহও। আজ দিল্লিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মোদী এবং অমিত শাহকে আমন্ত্রণ জানান। সঙ্গে সঙ্গেই দু’জনে তাঁদের সম্মতি জানিয়ে দেন। এ ছাড়াও কালকের অনুষ্ঠানে আসার কথা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ও ছত্তীসগঢ়ের মুখমন্ত্রী রমণ সিংহের।
মুখ্যমন্ত্রী পদে রঘুবর দাসের সঙ্গে আর কোন কোন মন্ত্রী কাল শপথ নেবেন তা এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। আজ সকালে দিল্লিতে হাজির রঘুবর ও প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রাইয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ডে সর্বোচ্চ মোট ১২ জনের মন্ত্রিসভা গঠন করা যেতে পারে। সেখানে কতজন এবং কে কে বিজেপি-র মন্ত্রী হবেন তা নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। বিজেপি জোটের ৪২ বিধায়কের মধ্যে শরিক আজসুর বিধায়ক সংখ্যা ৫।
অনুপজাতি মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ ধিকিধিকি জ্বলছে। নেহাত মোদী-অমিতের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। তবে এর মধ্যেই এই অংশ কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের আদিবাসীদের মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বাঁধছে। এবং তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে প্রস্তুত ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা, কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলই। সেই কারণে দলের মধ্যে থেকে প্রস্তাব এসেছে, একজন উপজাতি নেতাকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হোক। আপাতত, উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দলের এই অংশ গুমলার বিধায়ক শিবশঙ্কর ওঁরাওয়ের নাম প্রস্তাব করেছেন। উল্লেখ্য, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী শিবশঙ্কর মোদী ও অমিতের পছন্দের লোক। কিন্তু নীতিগত ভাবে বিজেপি উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদেরই বিরোধী। তাই শিবশঙ্করকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী না করা হলেও অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের ভার বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে দিতে পারেন বলে দলের রাজ্য নেতারা মনে করছেন। দলের রাজ্য নেতারা মনে করছেন, মোদী-অমিত শিবশঙ্করকেই এ রাজ্যে অর্জুন মুন্ডার বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভাবে আগ্রহী।