মনমোহন দুর্বল নন বোঝাতে ঢাল এ বার আর্থিক বৃদ্ধি

সাত রেসকোর্সে আর মাসখানেকও নয়। এখানে ফেরার দৌড়েও তিনি নেই। এখনও মনমোহন সিংহ যে ভাবে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ছেন, তার জবাব দিতে আজ ফের সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন যে দুর্বল ছিলেন না, তার প্রমাণ হিসেবে গত এক দশকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিকেই ঢাল করতে চাইলেন তাঁর বর্তমান মিডিয়া উপদেষ্টা পঙ্কজ পচৌরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:১০
Share:

সাত রেসকোর্সে আর মাসখানেকও নয়। এখানে ফেরার দৌড়েও তিনি নেই। এখনও মনমোহন সিংহ যে ভাবে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ছেন, তার জবাব দিতে আজ ফের সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন যে দুর্বল ছিলেন না, তার প্রমাণ হিসেবে গত এক দশকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিকেই ঢাল করতে চাইলেন তাঁর বর্তমান মিডিয়া উপদেষ্টা পঙ্কজ পচৌরী। আজ এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বললেন, “প্রধানমন্ত্রী যে মোটেই দুর্বল ছিলেন না তা গত দশ বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির খতিয়ানই জানান দিচ্ছে।” পচৌরীর আরও দাবি, এই দশ বছরে বিনিয়োগ যেমন বেড়েছে, তেমনই মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। পচৌরী এ-ও বলেন, “মনমোহন মৌনী ছিলেন বলে যে প্রচার চলছে তা মিথ্যা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই তিনি তাঁর মত জানিয়েছেন। গত দশ বছরে তিনি এক হাজার বার বক্তৃতা দিয়েছেন। হয়তো সংসদে আরও অনেক কথা বলতে পারতেন। কিন্তু বিরোধীদের বাধাতেই তা সম্ভব হয়নি।”

Advertisement

এ বারের নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহনের ‘দুর্বলতা’ বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার। তার ওপর সম্প্রতি মনমোহন সম্পর্কে প্রকাশিত দুটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে, নিজের মন্ত্রিসভা ও সচিবালয়ের ওপরেই প্রধানমন্ত্রীর কোনও কর্তৃত্ব ছিল না। জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেসের একাংশ নেতা-মন্ত্রীও প্রকাশ্যে বলতে শুরু করেছেন, ইউপিএ জমানায় কাজ কম হয়নি। কিন্তু তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রীর যতটা মুখ খোলা উচিত ছিল, ততটা তিনি করেননি। তাতেই অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। ঘরে-বাইরে এমন সমালোচনার জবাব দিতেই আজ এই সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা।

কিন্তু প্রশ্ন ছিল ভোট-বাজারে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি মুখ খুলবেন না? দলের শীর্ষ নেতারা যখন প্রচারে যাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী তখন বসে রয়েছেন কেন? মনমোহনের সচিবালয়ের তরফে বলা হয়, সঞ্জয় বারুর বই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আর ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রচারে যাবেন। ২৪ তারিখ তিনি অসমে যাবেন ভোট দিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement