একজোট। ত্রিপুরায় সিপিএম সম্মেলনে প্রকাশ কারাট, বিমান বসু ও মানিক সরকার। বুধবার বাপি রায়চৌধুরীর তোলা ছবি।
সাম্প্রদায়িক, জনবিরোধী ও দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক শক্তির মোকাবিলায় বামপন্থী, জনবাদী গণতান্ত্রিক দলগুলির ঐক্য অত্যন্ত জরুরি এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। আজ আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে ত্রিপুরা সিপিএমের ২১তম রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনে তিনি এ কথা বলেন। পাশাপাশি, দলের সমাবেশে তৃণমূলের দিকে তোপ দাগেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে প্রকাশ অভিযোগ করেন, জনকল্যাণমুখী সব রকম কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কাটছাঁট করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাদ যায়নি এনরেগা (১০০ দিনের কাজ) প্রকল্পও। খাদ্য নিরাপত্তা আইনে লাগাম দেওয়া হচ্ছে। প্রকাশের বক্তব্য, “গত ন’মাসে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন অধ্যাদেশ জারি করে কর্পোরেট সংস্থা ও পুঁজিবাদীদের সাহায্য করেছে। বিদেশি সংস্থা ও দেশের কোটিপতিদের স্বার্থেই কাজ করছে বিজেপি।’’
ত্রিপুরায় বামপন্থী আন্দোলনের ভিত মজবুত করতে, রাজ্যে সিপিএমের প্রাক্তনীদের কথা মনে করিয়ে দেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, “দশরথ দেব, নৃপেন চক্রবর্তী, বৈদ্যনাথ মজুমদারের মানবতাবাদী আন্দোলনের পথেই এগিয়েছেন ত্রিপুরার বামপন্থী সংগ্রামী মানুষ।” দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূলকে বিঁধেছেন পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর মন্তব্য, “তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা মানুষের সঞ্চয়ের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে জেল খাটছেন। শুধু সারদা নয়, রোজ ভ্যালি গোষ্ঠীও বাজার থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে। ওই সংস্থার সঙ্গেও তৃণমূলের আত্মিক যোগ রয়েছে।’’
শহরের আস্তাবল মাঠে সিপিএমের সমাবেশে প্রচুর ভিড় জমেছিল। সেখানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, “সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের মধ্যে সমন্বয় রেখে এ রাজ্যকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে নিয়ে যেতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমলেও ত্রিপুরায় এনরেগার কাজ একই ভাবে চলবে। সমাবেশে হাজির ছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট, অসমে দলের রাজ্য সম্পাদক উদ্ধব বর্মণ, রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর।