মুজফফরনগর গোষ্ঠী সংঘর্ষের জন্য অখিলেশ যাদব সরকারেরই সমালোচনা করল শীর্ষ আদালত। বাসিন্দাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে উত্তরপ্রদেশ সরকার ব্যর্থ বলেও তাদের একহাত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ দিন মুজফ্ফনগর গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল। তাতে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হিংসা ঠেকাতে সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। তবে তদন্তভার সিবিআই বা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
গত ৭ সেপ্টেম্বর গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয় মুজফফরনগর ও লাগোয়া এলাকায়। ক’দিনের হিংসায় প্রাণ হারান ৪০-এরও বেশি লোক। আহত হয়েছিলেন প্রায় ৮৫ জন। ঘর ছাড়তে হয়েছিল ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষকে। শীতকালে কনকনে ঠান্ডায় শরণার্থী শিবিরে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনাতেও দেশ জুড়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। এ বার তাদের মুখ পুড়ল শীর্ষ আদালতে।
বুধবার অখিলেশ যাদব সরকারকে বিচারপতিদের স্পষ্ট নির্দেশ যাদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে, তাদের রাজনৈতিক রং না দেখে অবিলম্বে ধরতে হবে। একই সঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরে যে মহিলারা ধর্ষিতা হয়েছিলেন তাঁদের তো বটেই, যাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন সেই সব ক’টি পরিবারকেই শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে হবে।
মুজফফরনগর সংঘর্ষ নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আজ তারই শুনানিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে আদালত। লোকসভা ভোট শুরু হতে আর মাত্র এগারো দিন বাকি। তার আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কিছুটা হলেও অখিলেশ যাদব সরকার বিপাকে পড়ল বলেই মনে করছেন অনেকে।