ট্রেকিং সেরে বেসক্যাম্পে ফেরার পথে আচমকা শুরু হয়েছিল তুষারঝড়। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ছুটও লাগান ক্যাম্পের দিকে। সাত জন পৌঁছতে পারলেও এক জন পারেননি। তুষারঝড় থামলে শুরু হয় খোঁজ। ঘটনার তিন দিন পর অন্ন রাস্তা থেকেই উদ্ধার করা হয় ওই অভিযাত্রীর দেহ। প্রশাসন সূত্রের খবর, নেপালে ট্রেকিংয়ে গিয়ে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দমদমের বাসিন্দা অরূপ রায়চৌধুরীর (৪০)। দমদমের পূর্ব মল রোডের বাসিন্দা, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অরূপের দেহ আগামিকাল, সোমবার তাঁর বাড়িতে আনা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নেপালে গিয়েছেন অরূপের মেজদা অনুপ রায়চৌধুরী। মৃতের পরিবার জানান, অরূপের সঙ্গীদের কাছে তিনি জেনেছেন, গত মঙ্গলবার অন্নপূর্ণা থেকে মুক্তিনাথে বেসক্যাম্পে ফেরার সময় তুষারঝড়ের কবলে পড়েন তাঁরা। বাকিরা সেই ঝড় সামলে বেসক্যাম্পে ফিরলেও অরূপ পারেননি। তাঁর বড়দা অশোক রায়চৌধুরী বলেন, “ট্রেকিংয়ে তেমন প্রশিক্ষণ ছিল না ভাইয়ের।” রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ। তাই নেপালের পাহাড়ের আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসে। শুরু হয় তুষারঝড়। আটকে পড়েন দেশ-বিদেশের অভিযাত্রীরা। নেপাল প্রশাসন সূত্রের খবর, বিপর্যয়ের খবর পেয়ে সেনা নামিয়ে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। শনিবারও এক দল অভিযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। অরূপের পরিবার জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ছাত্র অরূপ বেঙ্গালুরুর একটি সফটওয়্যার সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ঝিমলি পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের শিক্ষিকা। বছর তিনেকের একটি কন্যাসন্ত্যানও রয়েছে তাঁদের। পাড়ার তিন বন্ধুর সঙ্গে নেপালের মুক্তিনাথে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন অরূপ। ওই দলে ছিলেন আরও চার জন। নবমীর দিন কলকাতা থেকে রওনা দেন তাঁরা। সব ঠিক মতো চললে এ দিনই ট্রেকিং সেরে ফেরার কথা ছিল তাঁদের।