নোটিস দেওয়ার পরেও ইউপিএ জমানার যে মন্ত্রীরা দিল্লিতে সরকারি বাংলো ছাড়েননি, তাঁদের উপর প্রকাশ্যে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
ইউপিএ আমলের মন্ত্রীদের বাংলো না ছাড়া নিয়ে বিজেপি সাংসদরাই আজ সংসদে প্রশ্ন তুললেন মোদী সরকারের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে। জবাবে সংসদে লিখিত ভাবে বেঙ্কাইয়া প্রকাশ করলেন মনমোহন সিংহ মন্ত্রিসভার সেই সব সদস্যের নাম, যাঁরা নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও ১ মাসের বেশি বাংলো আঁকড়ে বসে। এমন ১৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে আছেন কপিল সিব্বল, জয়পাল রেড্ডি, ফারুক আবদুল্লা, সচিন পায়লট, অজিত সিংহের মতো নেতারা। অবৈধ কব্জার জন্য কত জরিমানা করা হয়েছে, তারও লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন বেঙ্কাইয়া।
আরও ২১ জনের নাম প্রকাশ করেছেন বেঙ্কাইয়া, যাঁরা মনমোহন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সাংসদ। তাঁদের মন্ত্রী হিসেবে পাওয়া বাংলো ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে। যে হেতু সময় দেওয়া হয়েছে, তাই এখনই তাঁদের থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে না। এই ২১ জনের মধ্যে এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, বীরাপ্পা মইলি, শশী তারুর, মল্লিকার্জুন খড়গে থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীও রয়েছেন। বেঙ্কাইয়া বলেন, “যাঁরা এ বার ফের জিতে এসেছেন বা রাজ্যসভায় সাংসদ রয়েছেন, তাঁরা সংসদের হাউস কমিটির কাছে গিয়ে বরাদ্দের বাংলো নিতে পারেন। কিন্তু যে প্রাক্তন মন্ত্রীরা এখনও বাংলোয় রয়েছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ সেটি খালি করে দিন। না হলে নতুন সাংসদদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।”
বাংলো ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে যাঁদের, তাঁদের জরিমানাও দিতে বলা হয়েছে। এই টাকার মোট অঙ্ক প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। এখন চাপ সৃষ্টি করতে বিজেপি সাংসদদের দিয়েই সংসদে প্রশ্ন করানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন দলের এক নেতা। বিজেপি নেতৃত্বের আশা, মন্ত্রিত্ব হারানো নেতারা এ বারে যদি চক্ষুলজ্জায় বাংলো ছেড়ে দেন!
তবে অস্কার ফার্নান্ডেজের মন্তব্য, “হইচই না করে আমাদের সঙ্গে কথা বললেই হতো।” অধীর জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রীর বাংলোতে যাওয়ার সময়ে সংসদের বাসভবন সংক্রান্ত কমিটি জানিয়েছিল, চতুর্থ বার জিতলে বাড়ি ছাড়তে হবে না। চার বারের সাংসদ হিসেবে ওই বাংলো তিনি পেতেই পারেন বলে দাবি অধীরবাবুর। সিব্বল ইতিমধ্যে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন, সচিন পায়লটও প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দীপা দাশমুন্সি সৈনিক ফার্মের একটি বাড়িতে উঠেছেন।