দিল্লি বিধানসভা ভোটের পরে রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয়েছিল দলটিকে নিয়ে। কিন্তু লোকসভা ভোটের পরে সমীক্ষায় আতসকাচ লাগিয়ে খুঁজতে হচ্ছে আম আদমি পার্টিকে (আপ)। এমনকী যথেষ্ট মিনমিনে আপ নেতাদের স্বরও।
কেন এমনটা হল? আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল দাবি করেছিলেন, অন্তত ১০০টি আসন পাবে দল। দেশ জুড়ে মোট ৪২২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আপ। সমীক্ষকদের বক্তব্য, তিন থেকে চারটির বেশি আসন পাবে না কেজরীবালের দল। দলের নেতা তথা ভোট বিশেষজ্ঞ যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, “গোটা দেশ জুড়ে যে কংগ্রেস বিরোধিতার হাওয়া দেখছেন সেটা কিন্তু আমরাই তুলেছিলাম। আজ বিজেপি তার ফসল তুলেছে।”
যোগেন্দ্রর মতে, আপের তেমন রাজনৈতিক সংগঠন তৈরির সুযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে, তাদের তৈরি কংগ্রেস-বিরোধিতার আন্দোলন গোটা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, অমেঠী লোকসভা কেন্দ্রটি দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেখানে আপ প্রার্থী হিসাবে কুমার বিশ্বাসের নাম দীর্ঘদিন স্থির হয়ে গিয়েছে। তিনি প্রচারও শুরু করেন। সেই তুলনায় বিজেপি-র স্মৃতি ইরানির নাম স্থির হয় নির্বাচনের পঁচিশ দিন আগে। কিন্তু প্রচারের হাওয়া তুলে অনেকটাই এগিয়ে যান স্মৃতি। এক আপ নেতার দাবি, অমেঠীতে হয়তো স্মৃতি হেরে যাবেন। কিন্তু তিনি এসেই কংগ্রেস-বিরোধী আবহাওয়ায় প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলেন। বিজেপি শক্তিশালী দল হওয়ায় তারা সেই হাওয়াকে বাড়াতে পেরেছে। আপ পারেনি।
দিল্লিতে সরকার গড়ার সুযোগ পেয়েও মাত্র ৪৯ দিন পরে তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কিনাতা নিয়েও চলছে বিতর্ক। পাশাপাশি বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে কেজরীবালকেও। দলের বক্তব্য ছিল, গোটা দেশে ছড়িয়ে প্রার্থী না দিয়ে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতো জায়গায় শক্তি একজোট করা। কারণ, এখনও সেখানেই সাফল্য পেয়েছে আপ। কিন্তু কেজরীবাল চেয়েছিলেন সর্বভারতীয় ভাবমূর্তি তৈরি করতে।
লোকসভা ভোটের শেষে দলের মধ্যেই এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিষয়টি ব্যুমেরাং হয়ে গেল না তো!