শেষ পর্যন্ত ইচ্ছাপূরণ হল মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকির।
লোকসভা ভোটের দিনই অরুণাচলে বিধানসভা নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের সুপারিশে নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগে, ৯ এপ্রিল সে রাজ্যের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গেই বিধানসভার ৬০টি আসনেও ভোট গ্রহণ করা হবে।
দেশ জুড়ে প্রবল মোদী-ঝড়ের জেরে রাজ্যে কংগ্রেসের নৌকা যাতে না-ডোবে, সে দিকে তাকিয়ে দ্রুত বিধানসভা ভোট করতে আগ্রহী ছিলেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী। প্রদেশ কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জেরে পরিবর্তন-মুখী স্রোত ও দেশ জুড়ে মোদী-ম্যাজিকের দিকে তাকিয়ে আশঙ্কিত ছিল অরুণাচলের শাসক দল। সেই কারণে ৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই, রাজ্যপালের কাছে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন টুকি। তখনও বিধানসভার ৭ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল।
রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, লোকসভা ও বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে হলে সরকারি কোষাগারের ৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। একই বছরে পরপর দু’বার নির্বাচন হলে, থমকে যাবে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজও।
বিরোধী বিজেপি, পিপিএ সেই যুক্তি মানতে চায়নি। তারা অভিযোগ তোলে, অ-গণতান্ত্রিকভাবে বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নীতিগত ভাবে আপত্তি না থাকলেও, কংগ্রেসের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় বিরোধীরা। একই দিনে দু’টি ভোট না-করাতে নির্বাচন কমিশনের কাছেও আপত্তি জানানো হয়।
কিন্তু, জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানায়, ৯ এপ্রিল অরুণাচলে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২২ মার্চ। তা প্রত্যাহারের সময়সীমা ২৬ মার্চ পর্যন্ত।
রাজ্যর মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সি বি কুমার জানান, গোটা দেশের মধ্যে নির্বাচনে খরচের দিক থেকে সব চেয়ে সংবেদনশীল রাজ্য অরুণাচল। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম সিয়াং, কুরুং কামে, নামনি সুবনসিড়ি, পাপুম পারে ও পূর্ব কামেং জেলার ২৩টি কেন্দ্রের উপরে নির্বাচন কমিশনের কড়া নজর থাকবে।