বিজেপি-র নবীনায়নের বিরুদ্ধে যশোবন্ত সিংহের চ্যালেঞ্জ এ বার ছোঁয়াচে রোগের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে। রাজস্থানের পর এ বার বিহারে তার ঢেউ লাগল। বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন বিহার বিজেপি-র অন্যতম প্রবীণ সংগঠক ও প্রাক্তন সাংসদ লালমুনি চৌবে। বিহারের বক্সারে প্রাক্তন সাংসদ লালমুনিকে টিকিট দেয়নি বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রয়োজনে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই ভোটের লড়াইয়ে নামার কথা ঘোষণা করেছেন লালমুনি। রাজ্য বিজেপি নেতারা এখন দলীয় বিবাদকে ঢাকতে ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ গোছের মনোভাব নিয়েছেন। তবে লালমুনিকে শান্ত করতে নেমে পড়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী।
বক্সারের চার বারের সাংসদ, পাঁচ বারের বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী লালমুনি চৌবে আজ জানিয়ে দেন, আগামী কাল নির্দল প্রার্থী হিসেবে বক্সার থেকে তিনি মনোয়নোন পেশ করবেন। তবে রাতে কয়েক দফা দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা লালমুনির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আজ গভীর রাতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার আশায় রাজ্য বিজেপি নেতারা। মোদীর সচিবর কাছ থেকে আজ দুপুরে তাঁর কাছে ফোন আসে। লালমুনিকে জানানো হয়, নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত মোদী আজ মধ্যরাতে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন।
ইতিমধ্যে লালমুনিকে বোঝাতে দলের তরফে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁকে রাজ্যপাল করা হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে শিশির চৌবেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজনাথ সিংহের তরফে। তাতেও লালমুনিকে শান্ত করা যায়নি। দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। তিনি বলেন, “দলের এখনকার ভুঁইফোড় নেতারা পুরনোদের অবহেলা করছে।” তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো প্রবীণ নেতাদের প্রতি আস্থা জানিয়ে দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহকে আক্রমণ করেছেন।